প্রথম বাংলা – আওয়ামী লীগের নতুন সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন- এই প্রশ্ন এখন দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীর। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বিভি ন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং সুশীল সমাজের প্রতি নিধিদেরও ব্যাপক আগ্রহ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক নেতাদের কেউই মুখ খুলতে চাচ্ছেন না। তার পরও দলের নেতাকর্মী সুযোগ পেলেই তাঁ দের কাছে জানতে চাচ্ছেন- দলের সাধারণ সম্পা দক পদে কার সম্ভাবনা বেশি?এই প্রতিযোগি তায় এখন পর্যন্ত কে এগিয়ে আছেন?
নেতাকর্মীর এসব প্রশ্নের জবাবে নীতিনির্ধারক নেতা সবাই প্রায় একবাক্যে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবুজ সংকেত পাওয়া নেতাই হবে ন আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক। এর আগে তিনি (শেখ হাসিনা) জাতীয় কাউ ন্সিলে উপস্থিত কাউন্সিলরদের মতামত নেবেন।
অনেক নেতাকর্মীর দৃষ্টিতে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদে হ্যাটট্রিক করবেন ওবায়দুল কাদের। তাঁর সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। এই মতের বাইরে থাকা নেতাকর্মী মনে করছেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে কোনো নেতাই দু’বারের বেশি সাধারণ সম্পাদক পদে থাকার সুযোগ পাননি। সুতরাং এবার এই পদে নতুন মুখ আসবে।
কয়েকজন নেতা বলেছেন, দলের জাতীয় কাউ ন্সিলের পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ কারণে দলের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য নেতাকেই সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করা হবে। অর্থাৎ নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের বেলায় অবশ্যই সততা, দক্ষতা ও যোগ্যতার পাশাপাশি সর্বস্তরের নেতাকর্মীর কাছে গ্রহণ যোগ্য নেতাকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।
এদিকে এখন পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদক পদে কোনো নেতাই পরপর দু’বারের বেশি নির্বা চিত হননি। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক পদে দু’বারের মেয়াদ পার করছেন। এবারও এই পদে তাঁর নাম আলো চনায় রয়েছে। তিনি ছাত্রলীগের সাবেক সভা পতি। এবার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের নাম আলোচনায় রয়েছে।
এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনার পুরোভাগে রয়েছেন সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম দুই সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আবদুর রহমান। এ দুই নেতা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। এর মধ্যে অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান।
সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্য নেতাদের তালি কায় আরও রয়েছেন দলের চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠ নিক সম্পাদক মির্জা আজম। এর মধ্যে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও মির্জা আজম যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সাধারণত আনু ষ্ঠানিকভাবে কেউ সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হন না। জাতীয় কাউন্সিলে উপস্থিত কাউন্সিলর দের মতামতের ভিত্তিতেই সাধারণ সম্পাদক নির্বা চন করা হয়ে থাকে। তাঁরা নাম প্রস্তাব ও সমর্থ নের মাধ্যমে নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এক দিনের এই কাউন্সিলে জাঁকজমকপূর্ণ কোনো আয়োজন থাকবে না। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কাউ ন্সিলে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কাউন্সিলর ও ডেলি গেটের উপস্থিতি থাকবে।
তিন বছর মেয়াদি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের কর্মকর্তা এবং সদস্যের সংখ্যা ৮১। এর মধ্যে মূলত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদ ই কাউন্সিলের আলোচনার পুরোভাগে থাকে। তবে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এবারও সভা পতি পদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প কিছু ভাবছেন না।
সুত্র, mp news