December 6, 2024, 5:14 am
শিরোনামঃ
ছাত্রদলের সভায় দাওয়াত পায়নি শিবির-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের ব্যাপক সংঘর্ষ, বাস চলাচল বন্ধ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রকাশ্যে বিরোধীতাকারী স্বৈরাচার সরকারের দোসর দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের চারসদস্যকে গ্রেফতার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ কারাগার থেকে পালানো ৭৭০ আসামি এখনও ধরা পড়েনি: কারা মহাপরিদর্শক জয়পুরহাটে টাকা দিয়েও সার পাচ্ছেন না কৃষক ত্রিপুরায় সহকারী হাইকমিশনে হামলা-ভাঙচুর, ছিঁড়ে ফেলা হলো বাংলাদেশি পতাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গঠিত অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট বহাল তবিয়তে আন্দোলনে আহতদের দেখতে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ডিএমপি কমিশনার সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ব্যাংকে দেয়া হয়েছে: গভর্নর
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

এমপি আনারকে হত্যার পর হাড় ও মাংস আলাদা করে হলুদ মেশানো হয়’

Reporter Name

প্রথম বাংলা – ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার পর হাড় ও মাংস আলাদা করে হলুদ মিশিয়ে ব্যাগে ঢোকায় হত্যাকারীরা। যাতে কেউ সন্দেহ করলে বাজার থেকে কেনা মাংস বলে এড়িয়ে যাওয়া যায়— এমনটা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ”বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

এদিকে ডিএমপি ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, দেশে হত্যাকাণ্ডের সাহস না পেয়ে,হত্যাকারীরা দেশের বাহিরে হত্যার পরিকল্পনা করে। প্রথমে তারা কলকাতায় বাসা ভাড়া নেয়। এর পর পরিবার পরিচয়ে তারা কলকাতার ভাড়া বাসায় উঠে পরে সেখানে জিহাদ বা জাহিদ ও সিয়াম নামে দুইজনকে তারা ভাড়া করে। এরপর হত্যাকাণ্ডের সব পরিকল্পনা সাজিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী ঢাকায় ফিরে আসে।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, এরপর ১২ মে এমপি আনার কলকাতায় গিয়ে বন্ধু গোপালের বাসায় উঠে। পরদিন ১৩ মে কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হন আনার”পরে ফয়সাল নামে একজন সাদা গাড়িতে তাকে রিসিভ করে। এরপর কিছুদূর গিয়ে হত্যাকারী সেই গাড়িতে উঠে’পরে তারা ওই ভাড়া করা বাসায় যায়।

এরপরই মুস্তাফিজ নামের একজন ব্যক্তি ওই বাসায় ঢোকে সে ই বাসায় আগে থেকেই জিহাদ অথবা জাহিদ ও সিয়াম আগে থেকেই ছিল। এরপর আধ ঘণ্টার মধ্যেই আনারকে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ খন্ডিত করা হয়। পরে গ্রে রঙের একটি স্যুটকেসে করে মরদেহের একটি অংশ ও পরদিন হাড় ও মাংসের সাথে হলুদ মিশিয়ে পলিথিনে করে সরিয়ে ফেলা হয়।

এদিকে হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল আনারের মরদেহএমনভাবে গুম করা,যাতে তাকে কোনোদিন খুঁজে না পাওয়া যায়। হত্যা কাণ্ডের পর হত্যাকারীরা একে একে বাংলাদেশে চলে আসলে মূল পরিকল্পনাকারী দেশ থেকে চলে যায় বলেও জানান হারুন বলেন, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত করা হয়েছে। তারা অনেক দিন ধরে এমপি আনারের ভারতে যাওয়ার সুযোগ খুজছিল।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন,হত্যার পর হত্যাকারীরা আনারে ফোন থেকে বিভিন্ন জনকে ম্যাসেজ পাঠায়। যাতে কেউ তার নিখোজের বিষয়টি সন্দেহ না করে। সবশেষ ১৮ মে একটি ম্যা সেজ পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি এছাড়া ঘন ঘন একাধিক স্থানে আনারের ফোনটি পাঠানো হয়। সবশেষ বেনাপোল থেকে আনারের ফোন দিয়ে তার ব্যক্তিগত সহকারীর কাছে ম্যাসেজ পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে তদন্তকারী সংস্থাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করারও চেষ্টা করা হয়।



Our Like Page