January 25, 2025, 5:19 pm
শিরোনামঃ
বংশালে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা; স্বামী গ্রেফতার শাহজাদপুরের নুকালী হাই স্কুল মাঠে বিএনপি’র বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি নেই ৫ আগষ্টে ইসলামী উগ্রবাদ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভ্যুত্থান হয়েছে” বললেন আসাদুজ্জামান কামাল ফ্রেব্রুয়ারিতে সরকার পতন আন্দোলনের ঘোষণা দিল আওয়ামী লীগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুলি করে হত্যা শাহজাদপুরে আরাফাত রহমান কোকো’র ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত লক্ষ্মীপুরে অবৈধ ইটভাটা, নজীরবিহীন বন উজাড় নিউমার্কেট থানা গেইটে আসামি মিথুনকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার ঘটনায় ছয়জন গ্রেফতার অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ: একটি তর্জনী, একটি বজ্রকণ্ঠের হুংকার,একটি দেশের স্বাধীনতা সকল শহীদদের প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলি

Reporter Name

নিজস্ব প্রতিবেদক –ঐতিহাসিক ৭ মার্চ: একটি তর্জনী,একটি বজ্রকণ্ঠের হুংকার,একটি দেশের স্বাধীনতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব দরবা রে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণে মর্যাদায় স্থান করে নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের চেয়েভালো ভাষণ বিশ্বের কোনো নেতাই দিতে পারেননি। এই ভাষণ এখন বিশ্ব ইতিহাসের অংশ। বিশ্বের অনে ক নেতা ও রাষ্ট্রপ্রধান ভালো ভাষণ দিয়েছেন। কিন্তু তাদের সকলের ভাষণ ছিলো লিখিত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল অলিখিত। অত্যন্ত সাবলিল ভাষায় দৃঢ়তার সঙ্গে ওই অলিখিত ভাষণ তিনি দিয়েছিলেন।

৫০ বছর আগের ওই ভাষণের আবেদন এখনো উজ্জ্বল বাঙ্গালির মনে। এখনো সেই ভাষণ বাজা লেই হাজারো বাঙ্গালী জড়ো হয়। ১৯ মিনিটের সেই ভাষণ ছিলো একটি নতুন দেশ গড়ার পাথে য়। দিশেহারাবাঙ্গালি জাতিকে তাদের পথের নির্দেশ দিয়েছিল সেই জ্বালাময়ী ভাষণ। ঐতিহা সিক ৭ মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ ছিল বাঙালির স্বাধীনতা প্রাপ্তির অনুপ্রেরণা। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ এবং আন্দোলনের মানসিকতা তৈরি করেছিল মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য অনুপ্রাণিত করেছিল।এই ভাষণ বাঙালি জাতিকে একটি পথের সন্ধান দিয়েছিলো। তাদের অধিকার আদায় এর পথকে সুগম করেছিলো সেই ভাষণ। বঙ্গবন্ধুর সেই ডাকে লাখ লাখ মানুষ তাদের কাছে যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঘর থেকে নেমে এসেছিলো। সংঘটিত হয়েছিলো ৯ মাসের যুদ্ধ। নিজের অধিকার আদায়ের যুদ্ধ।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে সুভাস চন্দ্র বসু বলেছিলেন,তোমরা আমাকে রক্ত দাও-আমি তোমাদের স্বাধীনতা দিবো’ আর বঙ্গবন্ধু তাঁর ভা ষণে বলেছিলেন,রক্ত যখন দিয়েছি, তখন আরো দেবো- তবু দেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআ ল্লাহ’এটাই বঙ্গবন্ধু, এটাই জাতির পিতার বাঙ্গা লির প্রতি প্রেম। বাঙালির মুক্তির জন্য তিনি সব সময় জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু রক্ত দিয়ে আমাদের ঋণী করে গেছেন।জাতির পিতা একজন মহামানব ছিলেন তিনি শুধু বাংলাদেশে র নয়, সারা বিশ্বের শোষিত নির্যা তিত মানুষের মহান নেতা। এমন মানবতাবাদী দেশপ্রেমী নেতা কালেভদ্রে জন্মগ্রহণ করেন। তারই নেতৃত্বের বিশালত্বের বর্ণনা দিতে গিয়ে ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন,‘আমি হিমালয় দেখি নি শেখ মুজিবকে দেখেছি’ক্যাস্ত্রো বলেছিলেন ৭ মার্চের ভাষণ শুধু একটি ভাষণ নয়,এটি একটি অনন্য রণকৌশলের দলিল।

জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষন সম্পর্কে নেলসেন ম্যান্ডেলা বলেছিলেন,৭ মার্চের ভাষণ আসলে ছিল স্বাধীনতার মূল দলিল। তাইতো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব দরবারে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণে মর্যাদায় স্থান করে নিয়েছে। এই ভাষণ এখন বিশ্ব ইতিহাসের অংশ। এই ভাষণ অমর অক্ষয়,অবিনাশি মুক্তির বাণি। যতদিন বাঙালি জাতি থাকবে,ততদিন ৭ মার্চের ভাষণ চিরঞ্জব হয়ে থাকবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সমস্ত জীবন মানুষের অধিকার আদায়ে উৎসর্গ করেছিলেন। জীবনের সোনালী সময় কারাবরণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু একটি স্বচ্ছ সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা চেয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংসদে বলেছিলেন দেশকে রক্ষা কর,দেশকে বাঁচাও,মানুষকে বাঁচাও,মানুষের দুঃখ দূর কর, আর দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর চোরাকারবারীদের উৎখাত কর। বেদনার সাথে বলতে হয়,যে মহান নেতা এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে জীব নের বেশিরভাগ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন, বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দিয়েছেন,সেই অবিসংবাদিত নেতাকে এদেশের কিছু বিশ্বাসঘাতক হত্যা করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়নি হত্যা করা হয়েছে জাতিসত্ত্বাকে।

ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহ মান ১৯৭১ সালে রেসকোর্স ময়দানে লক্ষ লক্ষ মুক্তিকা মী বাঙ্গালীর সম্মুখে সকল শহীদদের প্রতি রইলো শ্রদ্ধাঞ্জলি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গা লী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহ সকল শহীদদের প্রতি রইল শ্রদ্ধা অঞ্জলি এই দিনে মুজিব তোমায় মনে পড়ে।মুজিবের বাংলা খুনিদের রক্ষা নাই। এক মুজিব লোকান্তরে লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে মুক্তিকা মী বাঙ্গালীর সম্মুখে পাকিস্হানী বন্দুকের নিশানার মুখে হাজার বছ রের পরাধীনতার শেকল ভাঙ্গার যে অভূতপূর্ব বিধ্বংসী ভাষন দিয়েছিলেন। সেটাই ছিলো স্বপ্নে র স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মযন্ত্রনার শুরু..অবশে ষে রক্তাক্ত ৯ মাস পর ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যুযন্ত্র ণার ভেতর থেকে ভুমিষ্ঠ হয় স্বাধীনতা..তাই আজ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হয়ে মাথা উুঁচু করে হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়ে আছে ভেতো বাঙ্গালীর চীরন্তন গৌরবের ৭ ই মার্চ।

ফ্রন্টিয়ার রিপোর্টার্স সোসাইটি অব বাংলাদেশ( এফ.আর.এস.বি ) এর পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা,কৃতজ্ঞতা এবং গৌরবের সাথে ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চকে স্মরণ করছি। জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু।



Our Like Page
Developed by: BD IT HOST