নাবিউর রহমান (চয়ন) কাজিপুর প্রতিনিধিঃ– এক বছর আগে স্থানটি ছিল জঙ্গল, জমে থাকা পানিতে জন্মাত মশা-মাছি। পোকামাকড়ের জন্য লোকজন সেখানে যেতেন না। এমনই চিত্র ছিল সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানা ভবনের দক্ষিণ পাশে প্রায় দেড় বিঘা পতিত জমির।
ওই জমিতে মাটি ভরাট করে এখন চাষ হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির শীতকালীন শাকসবজি। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত বিষমুক্ত এই শাকসবজি দিয়েই চাহিদা মেটাচ্ছেন থানার পুলিশ কর্মকর্তারা।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে কৃষি বিপ্লবের অংশ হিসেবে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যেই থানা ভবনের দক্ষিণ পাশের পতিত জমিতে সবজি চাষ করা হচ্ছে। এমন সবুজ দৃশ্য থানায় সেবা নিতে আসা মানুষদের নজর কাড়ছে।
থানায় আসা মিল্টন মিয়া নামের এক সেবাপ্রত্যাশী বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা পতিত জমিতে শাকসবজি চাষ করেন। এমন উদ্যোগ দেখে তিনিসহ অনেকেই অনুপ্রাণিত হচ্ছেন নিজ বাড়ির পতিত জমিতে শীতকালীন সবজি চাষে।
সম্প্রতি সেখানে দেখা গেছে, আগের পতিত জমিতে মাটি ভরাট করে সেখানে চাষ করা হচ্ছে আগাম
শীতকালীন শাকসবজি,সেখানে আলাদা বেড তৈরি করে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পুঁইশাক, রসুন, পেঁয়াজ, মরিচ, লালশাক, ডাঁটাশাক, পেঁপে আবাদ করা হচ্ছে। গাছে পেঁপে ধরা শুরু করেছে। বেগুনও বড় হতে শুরু করেছে। আর মাচায় শোভা পাচ্ছে লাউ, চিচিঙ্গা। এরই মধ্যে সেগুলো সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে।
কাজিপুর থানার ওসি শ্যামল কুমার দত্ত জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মতে বাড়ির আঙিনায় যেন এক ইঞ্চি জায়গাও খালি না থাকে। সে জন্য থানার পতিত জায়গায় শাকসবজি চাষাবাদ শুরু করেছি। এতে আমাদের তরিতরকারির চাহিদার অনেকাংশই পূরণ হচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘বাড়ির আঙিনায় মানুষ যাতে শাকসবজির চাষাবাদ করে সে জন্য কৃষি অফিস থেকে সব সময় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বীজ ও জৈব সারও সরবরাহ করা হয়েছে।”