প্রথম বাংলা – হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানব ন্দরের কাস্টমস বিভাগের লকার থেকে ৬১ কেজি সো না চুরি বা গায়েবের ঘটনা ফাঁস হয়েছে চার মাস আগে যদিও প্রাথমিক হিসাবে বেহাত হওয়া সোনার পরিমাণ ছিল ৫৫ কেজি। পরিমাণ যাই হোক প্রাথমিকভাবে কাস্টমস বিভাগের নিম্ন স্তরের কিছু কর্মকর্তা চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার হলেও পেছনের রাঘববোয়ালরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
যদিও এরই মধ্যে ঢাকা কাস্টম,এনবিআর,পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি’র পর পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব নিলেও তেমন অগ্রগতি দেখা যায়নি। সংশ্লিষ্ট দের মতে, দিনের পর দিন এমন অপকর্ম হতে পারে না।
এবার সেই আড়ালের খলনায়কদের মুখোশ উন্মোচনে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের গোয়েন্দা নজরদারিতে বেশকিছু নতুন তথ্য-উপাত্ত পা ওয়ার পর কমিশনের অনুমোদনক্রমে টিম গঠন করে অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি। এরই মধ্যে অনুসন্ধা নের অংশ হিসেবে এনবিআর ও ঢাকা কাস্টম হাউসের পৃথক তদন্ত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন নথিপত্র তলব করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।ওই প্রতিবেদন ও গোয়েন্দা তথ্য যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করতে চায় সংস্থাটি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যম কে বলেন, সরকারি লকার থেকে সোনা চুরি হওয়ার ঘটনা আসলেই দুঃখজনক। যত দূর জানি এ বিষয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা দায়ের করেছিল। যার তদন্ত চলমান বলে জানি।
যত দূর জানি ৫৫ থেকে ৬২ কেজি সোনা চুরি হওয়া ছাড়াও অন্তত ১০০ কেজির বেশি সোনা লকারে মজুত ছিল। যা ঘটনার পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা দেওয়া হয়েছে। তাহলে এত দিন ধরে ১৫০ কেজি সো না কীভাবে কাস্টমসের লকারে থাকল?কেননজরদারি ছিল না, কার কার গাফিলতি রয়েছে— সবই আমাদের অনুসন্ধানের অংশ। একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট এর পেছনে কাজ করেছে কি না, সেটাও খুঁজে বের করা হবে দুদক কর্মকর্তা, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানায়।
যেহেতু সরকারি সম্পদ কিংবা সরকারি প্রতিষ্ঠানসংশ্লি ষ্ট ঘটনা,তাই এটা দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ। সেই বিবেচনায় দুদক থেকে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। অনুস ন্ধান টিম দুদকের আইন ও বিধি অনুসরণ করে অনুস ন্ধান শেষে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে, সংস্থাটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নামপ্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যম কে বলেন,আসলে দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে গুদাম ব্যবস্থাপনার প্রতিটি ধাপে ই ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। গুদামের আশেপাশের সিসি ক্যামেরা নষ্ট ছিল। কাস্টমসের লকারে দায়িত্বপ্রা প্ত একজন নিরীক্ষা কর্মকর্তা থাকার কথা,যিনি প্রতি মা সে নিরীক্ষা প্রতিবেদন কমিশনারের কাছে পেশ করবে ন ল।আমাদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে নিরীক্ষা কর্মকর্তা র দায়িত্ব ও প্রতিবেদন নিয়ে অসংগতি মিলেছে।
অন্যদিকে,কাস্টমস গুদামে এত পরিমাণ সোনা থাকা টাও বড় সন্দেহজনক। যত দূর জানি ৫৫ থেকে ৬২ কেজি সোনা চুরি হওয়া ছাড়াও অন্তত ১০০ কেজির বেশি সোনা লকারে মজুত ছিল। যা ঘটনার পরে বাংলা দেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা দেওয়া হয়েছে। তাহলে এত দিন ধরে ১৫০ কেজি সোনা কীভাবে কাস্টমসের লকা রে থাকল? কেন নজরদারি ছিল না,কার কার গাফিল তি রয়েছে— সবই আমাদের অনুসন্ধানের অংশ। একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট এর পেছনে কাজ করেছে কি না,সেটাও খুঁজে বের করা হবে।