জিয়া”উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলামকে একই গ্রাম কান্দুলিয়া মাস্টার বাড়ির আব্দুল আউয়ালের ছেলে মোঃ ফুরকান (৪০), কে ৫ লক্ষ টাকার মাধ্যমে সৌদি আরবের একটি স্বনামধন্য কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সৌদি আরবে পাঠান দালাল ফোরকান।
দালাল ফুরকানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী জিয়াউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, লোকমুখে শুনেছি দালাল ফোরকান অনেকদিন ধরেই সৌদি আরব সহ অন্যান্য দেশে গ্রামের ছেলেদের পাঠাচ্ছেন এবং চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ভিসা বিক্রি করে আসছেন, এবং আমাকেও প্রস্তাব দিয়েছেন আমার ছেলে শফিকুল ইসলামকে সৌদি আরব পাঠানোর জন্য তখন আমি সরল বিশ্বাসে দালাল ফোরকানের প্রস্তাবে রাজি হয়।
ফোরকান আমার ছেলেকে সৌদি আরবে একটি স্বনামধন্য কোম্পানিতে অফিসিয়াল কাজে দৈনিক ৮: ঘন্টা ডিউটি থাকা-খাওয়া মালিক বহন করিবে এবং মাসে ৫০ হাজার টাকা বেতন হইবে বলে সৌদি আরবে পাঠানোর লক্ষ্যে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন।
মৌখিকভাবে অঙ্গীকার করেন যে আমার ছেলে কে বিদেশে না পাঠাতে পারলে কোন জটিলতা দেখা দিলে বা সৌদি আরবে পৌঁছে কাজ না পেলে, কোন সমস্যায় পড়লে, এর যাবতীয় দাইভার দালাল ফুরকান গ্রহণ করবে এবং এই সরল বিশ্বাসে গত ১০/১/২০২১- তারিখে সর্ব প্রস্তাবে রাজি হয়ে ছেলেকে সৌদি আরবে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়ে সৌদি আরবে পাঠিয়েছি।
সৌদি পৌঁছানোর পর থেকে এখনো পর্যন্ত আমার ছেলে কোন চাকরিতে যোগ হতে পারেনি এবং সময় মত খাবারও খেতে পারছে না, বন্ধ সময় পার করছেন ইকামা ও পাচ্ছে না যার ফলে সচরাচর বাহিরে চলাফেরাও করতে পারছে না পুলিশের ভয়ে। দালাল ফুরকান টানা ছয় মাসেও আমার ছেলেকে তারা কোন কাজে যোগ দিতে পারেনি।
জিয়াউদ্দিন আরো বলেন সৌদি আরবে ছেলের এই মানবেতর জীবনযাপন আমার পরিবারসহ সবাইকে প্রতিনিয়ত আহাজারিতে সময় পার করতে হচ্ছে আমার এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় আমার ছেলেকে উদ্ধার করে তার কাছে ঠাঁই দিয়েছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ভৈরব আঞ্চলিক শাখা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন অভিযোগ সূত্র ধরে মোঃ সোহাগ মিয়া সভাপতি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এর নেতৃত্বে চারজন প্রতিনিধি দল ষড়যমীনে তথ্য ও উদঘাটনে যান এবং বিষয়টি প্রথমে কুলিয়ারচর থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তফার সাথে কথা বলেন পরে দালাল ফোরকানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারেনি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ভৈরব আঞ্চলিক শাখার মানবাধিকার কর্মীগণ।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন শুধু জিয়াউদ্দিনের ছেলেই নয় আরো অনেক নিরহ পরিবারের ছেলেরা দালাল ফুরকানের মাধ্যমে প্রতারিত হয়ে দূর সৌদি আরবে এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
ভুক্তভোগী জিয়াউদ্দিন আরো বলেন, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, আমার ছেলে সহ সকলকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জন্য, আমি বাংলাদেশের সকল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর