সুলতানা রাজিয়া সান্ধ্য কবিঃমুক্তিযুদ্ধ ৭১ সংবাদ পত্রিকা সিনিয়র রিপোর্টার।
কুড়িগ্রাম সদর থানা অধীনস্থ বেলগাছা ইউনিয়ন সাং দক্ষিণ ধনঞ্জয়,থানা ও জেলা কুড়িগ্রাম।নিজ বাসার পিডিপি এর বিদ্যুত সংযোগ থেকে চোরাই লাইন নিয়ে কথা কাটাকাটি করতে এক পর্যায় হাতাহাতি হয়ে গোলাম মোস্তফা নামে এক বৃদ্ধের চোখ ধারালো ছুরির আঘাতে চিরতরে হারাতে হয়।ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম সদর বেলগাছা ইউনিয়নের দক্ষিণ ধনঞ্জয় গ্রামে।
জানা যায়, ১৪.৯.২০২২ ইং তারিখ সকাল অনু মান ১০টার সময় বিদ্যুত চোরাই লাইন নিয়ে জরিমানা হওয়ায় স্থানীয় শালিসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক টাকার কথা বলতে গেলে বিবাদী ১।কৃষ্ণ (২৪)২। বিদ্যুত (ভূট্ট)(৩০) উভয়ের পিতা -নৃপেন্দ্র নাথ বর্ম্মন বিদেশী,
৩। নৃপেন্দ্রনাথ বর্মন,বিদেশী (৫৫),
পিতা -মৃত্যু বিপিন চন্দ্র বর্ম্মন,
৪। আতিকা রানী,(৩০) পিং -নৃপেন্দ্র নাথ বর্মন বিদেশী, সর্বসাং দক্ষিণ ধনঞ্জয়, ইউপি বেলগাছা, থানা ও জেলা – কুড়িগ্রাম।তারা পুর্ব ষড়যন্ত্র মোতাবেক লাঠি শোটা কুড়াল দা ধারালো অস্ত্র সহ আক্রমণ করে নানা স্থানে জখম করে।এবং গোলাম মোস্তফা নামে বৃদ্ধার জীবনের ডান চোখ চিরতরে হারিয়ে দেয়।
জানা যায় বিবাদীগণের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সদর থানায় ১৭.০৯.২০২২ ইং ইজাহার দাখিল করা হয়েছে।ইজাহার প্রাথমিক তথ্য বিবরনী: নং -২১.জি আর নং ৩৭১/২০২২( কুড়ি)ঘটনা সূত্রে আরও জানা যায়,বিবাদীগণ বিদ্যুতের চোরাই লাইন নেয়ার জন্য বিদ্যুৎ অফিসের কতৃপক্ষ বাদী পক্ষের বহু টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বর্ণীত বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসার জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একটি শালিস করে। জরিমানার টাকা শালিসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিবাদীগণ জরিমানার টাকা পরিশোধ করবে বলে সম্মত হয়।গোলাম মোস্তফার বড় ছেলে মোঃ মমিনুল জানান,
জরিমানার টাকা না দিয়ে কালক্ষেপন করে এবং নানা ষড়যন্ত্র করে তা আমাদের জানা ছিল না।
জরিমানার টাকার তারিখ হলে আমার ছোট ভাই তাদের আঙ্গিনায় পা দেয়া মাত্র তারা পুর্ব্ব ষড় যন্ত্র মোতাবেক আমার ছোট ভাইকে লাঠি ছোঁড়া দা কুড়াল দিয়ে আক্রমণ করে এবং শরীরের নানা স্থানে জখম করে।এই হাঙ্গামা শুনে আমার বাবা গোলাম মোস্তফা দৌঁড়ে বিবাদীদের আঙ্গি নায় পৌঁছা মাত্র নিরস্ত্রের সুযোগ নিয়ে আমার বা বার ডান চোখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে চিরতরে চোখ অন্ধ করে দেয়।
বাবা মাটিতে পড়ে গেলে স্থানীয় লোকজন আমা র বাবাকে নিয়ে মরিয়ম চক্ষু হাসপাতাল উলিপুর ,কুড়িগ্রাম ভর্তি করে।মরিয়ম চক্ষু হাসপাতাল উলিপুর,কুড়িগ্রামের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমা র পিতাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল রেফার্ড করে।
সদর হাসপাতাল, কুড়িগ্রামের কতর্ব্যরত চিকি ৎসক আমার পিতাকে মেডিকেল কলেজ হাস পাতাল রংপুর রেফার্ড করে।টাকার অভাবে বাবা র সুচিকিৎসা করতে না পারায় বাড়িতে নিয়ে আসি।বর্তমান আমার পিতা ডান চোখ দিয়ে কিছু ই দেখতে পায়না।চিকিৎসক বলেছেন তোমার বাবার ডান চোখটি তুলে ফেলতে হবে।তানা হলে,আঘাত পাওয়া চক্ষুর পাশের চক্ষুটিও ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।চিকিৎসকের পরামর্শ পেলেও অর্থের যোগান তো দিতে পাচ্ছি না। আমরা দিন মজুর করে খাই।কোথায় এত টাকা পাবো।
চক্ষু হারিয়ে বাবা সব সময় কেঁদে কেঁদে বলেন, সংবাদ পত্রের মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রীর নিকট প্রার্থনা জানিয়ে আমার চোখের সু- চিকিৎসা সহ বাকি চোখটি উঠানোর ব্যবস্থা কর।বড় ছেলে মমিনুল ইসলাম তার এক ব্রিফিং কালে বলেন,আমরা গরিব মানুষ;কে আমাদের দুঃখের কথা শুনে এগিয়ে আসবে।তিনি তার ফোন নম্বর (০১৭৫ ১-১৩২১৪৫)(০১৭৯৭৭৮৬৯৪৩)দিয়ে সকলের কাছে প্রার্থনা জানিয়েছেন। কেউ যদি সদয় হয়ে এগিয়ে আসে সেই আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
পরিশেষে বাংলাদেশ প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ব্যকুলতার সহিত বাবার চোখের চিকিৎসার জন্য সহায়তায় হাত বাড়িয়েছেন তিনি।