সুলতানা রাজিয়া সান্ধ্য কবিঃমুক্তিযুদ্ধ ৭১ সংবাদ পত্রিকা: সিনিয়র রিপোর্টার।
কুড়িগ্রামের উলিপুরের বুড়াবুড়ী ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মাদ্রাসাটি১৯৮৪ সালে সুলতানিয়া মাদ্রাসা নামে পরিচিত ছিল।প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার সুলতান হোসেন এবং প্রধান শিক্ষক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।তিনি মারা যাবার পর পর্যায় ক্রমে পরিচালিত হয়ে আসছে।
বর্তমান প্রতিষ্ঠাতা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বুড়াবুড়ী,উপজেলা,উলিপুর,জেলা কুড়িগ্রামের প্রতি ষ্ঠাকাল ২০১৭ খ্রিঃ মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণ শিক্ষা কার্যক্রম ইসলামিক ফাউন্ডেশন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার-এর মাদ্রাসাটি বুড়াবুড়ী ফকির মহম্মদ ৩নং ওয়ার্ডে অবস্থিত।
এই মাদ্রাসাটিতে ছাত্র-ছাত্রী প্রায় ১০৩ জন হলেও উপস্থিতি খুব কম।শ্রেনী কক্ষ প্রথম থেকে ৫মশ্রেনী পর্যন্ত।শিক্ষক হিসাবে মোট ৫জন খাতা কলমে থাকলেও উপস্থিতি ১জন।ডিপুটিশনে রয়েছেন ১জন।ছাত্র ছাত্রীরা সকাল ১০টা পর্যন্ত ৫জন দেখা গিয়েছে।
তাও আবার নদীতীরে খেলতে গিয়েছে।অস্থায়ী প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম।এই মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি খন্দকার মোঃ মন্জু রুল ইসলাম মন্জু বলেন,২০১৭ সালে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সপ্নের দারুল আরকাম মাদ্রাসা গুলি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় চলছে।
আমি বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত লিখিত আকারে জানিয়েছি এ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছেনা।তদন্ত পর্যন্ত আসেনা।আমরা নিরাশায় ভোগ করছি।শিক্ষকরা অস্থায়ী নিয়োগ পেয়ে নিজের খরচে দুর দুরান্তর থেকে টাকা খরচ করে মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চালিয়ে যাচ্ছেন।
এভাবে আর কতদিন চলতে পারে।বাচ্চাদেরও মাদ্রাসা আসতে অনেকটা অনিহা প্রকাশ পাওয়া যায়।বসিবার নেই আসন,খেলিবার মাঠ অনেক ছোট।ঘরের বেরাগুলি শতকানা বা ভাঙ্গা।ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের সময় মারামারি হয়ে ভাঙচুর হয়েছে।সেখানে কয়েকরাউন্ড গুলিও হয়েছে। গুলির (সুট) খেয়ে চেয়ারম্যান হাতপাখা প্রার্থী মোঃ মতিউর রহমান লালের পায়ে লেগে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
ইলেকশনের মারামারিতে ঘর ভাঙা হলেও আজ পর্যন্ত ভাঙ্গা ঘরে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে আসছে।আসে পাশে স্কুল মাদ্রাসা বহুতল ভবন দেখে অনেক শিক্ষার্থী এ মাদ্রাসা থেকে চলে গিয়েছে।কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সুন্দর পরিবেশ সহ খেলার মাঠের প্রার্থনা জানায়।