কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩০টি পরিবারের বাড়ি চলাচলের রাস্তা বন্ধসহ ৫ লাখ টাকা আত্নসাত করার অভিযোগ উঠেছে দক্ষিন কিশামত গোবধা জামে মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপির দক্ষিন কিশামত গোবধা জামে মসজিদ কমিটি গত ১৫ জুলাই মসজিদের পশ্চিম পাশে বামন্ডারী ওয়াল দেয়ায় পূর্বপুরুষ ধরে ৩০টি পরিবারের বাড়ি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়টি গত ৭ জুলাই ২০২৩ ইং রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়াদ্দী বাপ্পি, রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ,ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রমাণিক সহ স্থানীয় মুসল্লিরা সালিশ বৈঠক করে সমাধান করার চেষ্টা করেন।
ওই সময় বিচারকবৃন্দুদেরকে অমাণ্য করে মসজিদ কমি টির সাধারণ সম্পাদক একরামুল হকগং ক্ষিপ্ত হয়ে ৩০টি পরিবারের বাড়ি হতে বাহির হওয়ার রাস্তায় বাশেঁর ফালার চেকার ও সুপারীর চারা গাছ লাগিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে আরোও ১০টি পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ৩০টি পরিবারের লোকজন অতিকষ্টে জিবন-যাপন করছেন।
এ ঘটনায় দক্ষিন কিশামত গোবধা জামে-মসজিদের মুসল্লিরা একটি লেখিত অভিযোগ রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যলায়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি পেশ করেছেন।
দক্ষিন কিশামত গোবধা জামে-মসজিদের একাধিক মুসল্লিদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়,এ ঘটনার পর থেকে ওই মসজিদের ইমাম,মোয়াজ্জিন এবং গ্রামের প্রায় ৬০টি পরিবারের মুসল্লিরা আর একটি মসজিদ নির্মাণ করে নামাজ আদায় করছেন এ ছাড়াও ওই মসজিদের ৫লাখ টাকার হিসাব না দিয়ে তালবাহানা করছে।
ওই মসজিদ কমটির সাধারণ সম্পাদক একরামুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, মসজিদ একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে ওই মসজিদ কমটির সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক তার ব্যক্তিগত সার্থক হাসিল করেছে। এতে ধর্মীয় অনুশাসন ও সামজিক শান্তি বিনষ্ট করছে এ বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম বলেন,এ বিষয়টি তদন্ত করার জন্য এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তিনি তদন্ত করার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।