কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি-
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সম্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে নিরলসভাবে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। বিভিন্ন সময়ে সংঘঠিত অপরাধে জড়িত নাগরিকদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৬ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ রৌমারী থানা পুলিশ ও রৌমারী উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে বালু তোলার ড্রেজার মেশিন ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দসহ একজন বালু ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ০৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয় এবং নাগেশ্বরী থানা পুলিশ ও নাগেশ্বরী উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের সময় ড্রেজার মেশিন ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দসহ আর একজন বালু ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পাশাপাশি কুড়িগ্রাম থানার হলোখানা ইউনিয়নের বাংটুর ঘাট হতে লক্ষীকান্ত ঘাটগামী রাস্তার পার্শ্বে হেমেরকুটি মলেয়ারটেকে,ভোগডাঙ্গা ইনিয়নের নানকার পাড় ধরলা নদীর পূর্বপাড়ে, ঢুষমারা থানার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের নয়ারচর খেয়াঘাট এলাকায়,রাজারহাট থানার বিদ্যানন্দ ও ছিনাই এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত মোট ০৬ টি শ্যালো মেশিন,০৪ টি ট্রাক্টর,টিউবওয়েল, হোস পাইপ, প্লাস্টিকের পাইপ, ড্রাম ও বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দসহ পুলিশ বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম থানায় ০২ টি,ঢুষমারা থানায় ০১ টি ও রাজারহাট থানায় ০৩ টি মোট ০৬ টি বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা রুজু করা হয়।
এছাড়াও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহনে পরিবহন করায় জেলা ট্রাফিক বিভাগের অভিযানে মোট ৩৭ টি ট্রাক্টর পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য আটক করা হয়।কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার জনাব আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসন যৌথ উদ্যোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা, মোবাইল কোর্টসহ বহুমাত্রিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আমরা সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা কামনা করি।
এভাবেই কুড়িগ্রাম জেলার সম্মানিত নাগরিকদের টেকসই নিরাপত্তার নিমিত্তে সদা জাগ্রত কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ