July 27, 2024, 3:51 am
শিরোনামঃ
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির দেশব্যাপী নৈরাজ্য প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মানববন্ধন উলিপুরের থেথরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকের মৃ/ত্যু : লাখো মানুষের ভীর শাহজাদপুরে দেশী মদের দোকান সিলগালা করায় মুসল্লিদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ জামালপুর জেলায় ধান – চাউল সংগ্রহের চিত্র ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২০৬ রাউন্ড গুলিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি ১৬২ সদস্যকে ডিএমপির কল্যাণ তহবিল হতে আর্থিক অনুদান প্রদান উপবৃত্তির অর্থ পাইয়ে দিতে প্রতারণার ফাঁদ, মাউশির জরুরি বিজ্ঞপ্তি বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেলেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি”র ওসি ফারুক হোসেন ঘুরেফিরে প্রভাবশালীরা ঢাকায়, গণপূর্তের ৫ নির্বাহী প্রকৌশলীর বদলি সিটিসি ডা: গোলাম রব্বানীই শেষ কথা: প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পে কসাইখানা নির্মাণে ভয়াবহ দুর্নীতি
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

কুড়িগ্রাম -জাতীয় নির্বাচন পূর্ব চিত্র–ও এবারের জাতীয় দ্বাদশ নির্বাচন প্রত্যাশী প্রার্থীগণ

Reporter Name

সুলতানা রাজিয়া সান্ধ্য কবি: নিজস্ব প্রতিনিধি।

১৯৯৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) সংসদীয় আসন হাতছাড়া করেনি জাতীয় পার্টি (জাপা)। বিপুলসংখ্যক ‘ভোটব্যাংক’ থাকায় দলটির প্রার্থীর বিপরীতে সুবিধা করতে পারেননি বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। তবে সাংগঠনিকভাবে জাপা আর আগের জায়গায় নেই। ২০১৮ সালে সে সুবিধা নিয়েছে আওয়ামী লীগ। বর্তমানে এ দলটিতেও আধিপত্য নিয়ে কোন্দল চলছে। ভোটারদের ধারণা, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর সুযোগ নিতে পারে জাপা কিংবা বিএনপি।

বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ভোটার ও তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বলছেন, এরশাদের মৃত্যুর পর জাপার ভোটব্যাংকও কিছুটা হালকা হয়েছে। ফলে একক প্রার্থী দিয়ে দলটির জয়ী হওয়া কঠিন। সে ক্ষেত্রে জোট বাঁধতে হবে সমমনা কোনো দলের সঙ্গে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এ কে এম মাঈদুল ইসলামকে হারিয়ে সংসদ সদস্য (এমপি) হন রাষ্ট্রপতি ও জাতীয়ট পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ,পরে আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে এরশাদের ছোট ভাই মোজাম্মেল হক লালু এমপি হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এ কে এম মাঈদুল ইসলামকে হারিয়ে বিজয়ী হনট জাপার মতিয়ার রহমান। কিন্তু ২০০৮ সালে দল বদলে জাপার প্রার্থী হয়ে আসনটিতে এমপি হন মাঈদুল ২০১৪ সালের নির্বাচনেট তাঁর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না।

২০১৮ সালে মাঈদুল ইসলাম মারা গেলে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের এম এ মতিনকে হারিয়ে জয়ী হন জাপার আক্কাছ আলী সরকার। তিনি ক্ষমতায় ছিলেন মাত্র চার মাস। একই বছরের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নানা নাটকীয়তার পর সে নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন আক্কাছ আলী। নির্বাচনে বিএনপির তাসভীর উল ইসলামকে হারিয়ে জয়ী হন আওয়ামী লীগের এম এ মতিন।

আবারও আগামী দ্বাদশ নির্বাচনের তালিকায় রয়েছেন , বীরমুক্তিযোদ্ধা বর্তমান এমপি আলহাজ্জ্ব
অধ্যাপক এম এ মতিন।

অন্যদের মধ্যে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবীব রানা, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু, সংগঠনের সাবেক সভাপতি মতি শিউলি ও কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে।
এবং
বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক এমপি আলহাজ্জ্ব জনাব আমজাদ হোসেন তালুকদার- সুযোগ্য পূত্র
জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মোঃ সাজাদুর রহমান সাজু তালুকদার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির একাধিক নেতা বলেন, আধিপত্য নিয়ে এমপি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বের কথা এখন সবার জানা। উপজেলার রাজনীতিতে তাঁদের নিজস্ব বলয় আছে। কিছুদিন আগেও সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা একে অপরের বিষোদ্গার করেছেন। বিরোধ জিইয়ে রাখলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ভোটের ফলাফলে।তবে দলীয় কোন্দলের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন বর্তমান এমপি এম এ মতিন। তিনি বলেন, দলে কোনো বিরোধ নেই। চেয়ারম্যানের সঙ্গে মতপার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু দল ঐক্যবদ্ধ আছে।

এদিকে জাপার সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন সংগঠনের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা জেবুন্নেসা রহমান টুম্পা,উপজেলা জাপার আহ্বায়ক আতিয়ার রহমান ও যুগ্ম আহ্বায়ক এম কফিল উদ্দিন। তাঁরা উপজেলা,পৌরসভা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কমবেশি যোগাযোগ রাখ ছেন। দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান,আসনটি বরাবরই জাতীয় পার্টির ছিল ভবিষ্যতেও এলাকার সাধারণ ভোটাররা জাপা প্রার্থীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন।

মনোনয়ন প্রত্যাশী জেবুন্নেসা রহমান টুম্পা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আবারও জাতীয় পার্টি এ আসনে জয়ী হবে। নির্বাচিত হলে এলাকায় নতুন শিল্পাঞ্চল তৈরির পাশাপাশি উলিপুরকে বিনিয়োগবান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তুলবেন।

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় আছেন জেলা কমিটির সভাপতি তাসভীর উল ইসলাম ও রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক। মাঝেমধ্যেই এলাকায় এসে তাঁরা জনসংযোগ করছেন। তাসভীর উল ইসলাম বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না সুষ্ঠু নির্বাচন হলে মানুষ বিএনপি কেই জয়ী করবে।

এ তিন দলের বাইরে বাসদের সাঈদ আখতার আমীন ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির দেলোয়ার হোসেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। অন্যদিকে এবার জাপায় না থাকলেও আলোচনায় আছেন সাবেক এমপি আক্কাছ আলী সরকার। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দেওয়া এ নেতা দলটির হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ভাগাভাগি হতে পারে জাপার ভোটব্যাংক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page