April 29, 2025, 6:56 am
শিরোনামঃ
শাহজাদপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আয়োজনে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত টাকা না দিলে মাদক মামলায় ‘ফাঁসিয়ে’ দেওয়ার অভিযোগ এসআই মাছুদ জামালি’র বিরুদ্ধে শাহজাদপুরে মাচাল তৈরিকে কেন্দ্র করে যুবক নিহত, জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি স্থানীয়দের বাড়ি থেকে বেরোনোর রাস্তা না থাকায় বিপাকে পড়েছে গোটা পরিবার বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দেশটির জনগণ নির্ধারণ করবে : যুক্তরাষ্ট্র দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের অভিযান ময়মনসিংহ জিলা মটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি সন্তুষ্ট না :মির্জা ফখরুল ময়মনসিংহে ডিবি হেফাজতে অমানষিক নির্যাতন যাত্রাবাড়ীতে ১৫১ বোতল বিদেশি মদ ও ট্রাকসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-রমনা
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

কুলাউড়া মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে মানবিক টিম সিলেটের বিশেষ আয়োজন

Reporter Name

মো: রেজাউল ইসলাম শাফি, কুলাউড়া(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ

কুলাউড়া মুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে মানবিক টিম সিলেটে এর আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোচনা সভা,বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান,সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি,ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পেইন,শীতবস্ত্র বিতরণ,সেলাই মেশিন বিতরণ, হতদরিদ্র নিয়ে পিঠা উৎসব, ৬ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকা থেকে বিকেলে ৪ ঘটিকা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সুশীল সেন গুপ্ত।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবক মইনুল ইসলাম শামীম সহ বীর মুক্তিযো দ্ধাবৃন্দ।প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেওয়ারিশ সেবা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্টাতা শওকত হোসেন পিপিএম।এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠ নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপ তিত্ব করেন মানবিক টিম সিলেট এর সমন্বয়ক সফি আহমদ (পিপিএম)।

উল্লেখ, ১৯৭১ সালের এই দিনে মৌলভাবাজারের এই উপজেলা পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়। পাকি স্তানি সামরিক জান্তাদের কুলাউড়া থানায় প্রথম আগমন ঘটে ৭ই মে। মৌলভীবাজার থেকে কুলাউ ড়া প্রবেশ পথে কালুয়া ব্রিজের কাছে গতিরোধ করতে দিয়ে সেদিন শহীদ হন বীর সৈনিক মোজা হিদ সদস্য জয়চণ্ডী ইউনিয়নের মো. আকরাম ওর ফে আছকির মিয়া ও হাবীব উদ্দিন।

কুলাউড়া থানার সবচেয়ে বড় ও সর্বশেষ অপারেশন পুরা ভোরের শেষ দিকে গাজীপুর মুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এতে নেতৃত্ব দেন এম এ মোমিত আসুক। সাগরনাল চা বাগানে প্রথম এসে অবস্থান নেন তারা। এই স্থানে মিলিত হন ধর্মনগর থেকে আগত কর্ণেল হর দয়াল সিংহের নেতৃত্বে ভারতীয় সেনা বাহিনী ৬৭ রামপুর রেজিমেন্টের বিরাট একটি দল। তারাও বাগানে অবস্থান নেন। ৩০শে নভেম্বর কাকুরা চা বাগানে অবস্থানকারী ৭৫ রাজাকার ও পাঁচজন পাকিস্তানি সৈন্য ধরা পড়ে।

১লা ডিসেম্বর ককুরা চা বাগান থেকে গাজীপুর চা বাগান এলাকার দিকে মিত্র বাহিনী অগ্রসর হলে পাক সেনাদের সঙ্গে পাল্টা গুলি বর্ষণ চলতে থাকে। ২রা ডিসেম্বর রাতে যুদ্ধ হয়। ৩রা ডিসেম্বর ৪/৫ গোখরা রেজিমেন্ট কর্ণেল হারকিলের নেতৃত্বে একটি দল সাহায্যে এগিয়ে আসেন। রাতেও প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। তবুও গাজীপুর চা বাগান এলাকা দখল মুক্ত করা সম্ভব না হলে ৪ই ডিসেম্বর যুদ্ধের পরিকল্পনা বদলে ফেলা হয়। সে অনুযায়ী এম এ মোমিত আসুক ও মোহনলাল সোম রাত ১২টায় পেছন দিক থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শেষ দিকে লক্ষরপুর গ্রামে অবস্থানরত মুক্তিবাহিনী এ যুদ্ধে অংশ নেন। এই যুদ্ধে প্রায় ২৫০ জন পাকিস্তানি সৈন্যরা প্রাণ হারায়। ৫ ডিসেম্বর গাজীপুর চা বাগান এলাকা মুক্ত হয়। এই দিনই সন্ধ্যার দিকে সম্মিলিত বাহিনী কুলাউড়ায় পৌঁছে। এ রাতেই সব পাকিস্তানি সৈন্য ব্রাহ্মন বাজারের দিকে সড়ক পথে কুলাউড়া ত্যাগ করে। এভাবেই ৬ই ডিসেম্বর কুলাউড়া শত্রুমুক্ত হয়। এই দিন থেকে কুলাউড়ায় লাল-সবুজের পতাকা উড়তে থাকে।

মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আতাউর রহমান আতা জানান, ৭ই মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দোসররা মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র, যুবক ও কৃষকসহ প্রায় ৪৫০ জনকে হত্যা করে।



Our Like Page
Developed by: BD IT HOST