July 27, 2024, 6:37 am
শিরোনামঃ
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির দেশব্যাপী নৈরাজ্য প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মানববন্ধন উলিপুরের থেথরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকের মৃ/ত্যু : লাখো মানুষের ভীর শাহজাদপুরে দেশী মদের দোকান সিলগালা করায় মুসল্লিদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ জামালপুর জেলায় ধান – চাউল সংগ্রহের চিত্র ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২০৬ রাউন্ড গুলিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি ১৬২ সদস্যকে ডিএমপির কল্যাণ তহবিল হতে আর্থিক অনুদান প্রদান উপবৃত্তির অর্থ পাইয়ে দিতে প্রতারণার ফাঁদ, মাউশির জরুরি বিজ্ঞপ্তি বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেলেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি”র ওসি ফারুক হোসেন ঘুরেফিরে প্রভাবশালীরা ঢাকায়, গণপূর্তের ৫ নির্বাহী প্রকৌশলীর বদলি সিটিসি ডা: গোলাম রব্বানীই শেষ কথা: প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পে কসাইখানা নির্মাণে ভয়াবহ দুর্নীতি
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

কুলাউড়ায় মেয়র সিপারসহ দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলার অভিযোগ

Reporter Name

মো: রেজাউল ইসলাম শাফি, কুলাউড়া প্রতিনিধিঃ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার মেয়রসহ দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে একটি পরিবারের সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই পরিবারের সদস্যরা ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কুলাউড়া পৌর শহরে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগের কথা তুলে ধরেন।

বেলা তিনটার দিকে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। এ সময় পৌর শহরের বিহালা এলাকার বাসিন্দা সুমি আক্তার বলেন, তাঁদের বাবা কুতুব আলী ২০০৯ সালে মারা গেছেন। বিহালায় তাঁদের বাবার ৬৫ শতকের বাড়ি রয়েছে। তাঁরা চার বোন। বাবার মৃত্যুর পর থেকে তাঁরা বাবার সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছেন। তাঁদের বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে প্রায় চার ফুট দূরত্বে বেশ আগে প্রায় সাত ফুট উচ্চতা ও ১০০ ফুট লম্বা পাকার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়।

সুমি আক্তার অভিযোগ করেন,গত ১৯ অক্টোবর দুপুরে পৌরসভার মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদ, ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লোকমান হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলার সুফিয়া বেগমের উপস্থিতিতে অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জন লোক রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণের জন্য সীমানাপ্রাচীরটি ভেঙে ফেলেন। সীমানা প্রাচীর ভাঙার জন্য আগে তাঁদের কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। এতে তাঁদের প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সুমির অপর তিন বোন রায়না বেগম, লাইলুন বেগম ও মুন্না বেগম উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার লোকমান আলী জানান, পৌরসভার নতুন ম্যাপ অনুযায়ী রাস্তার ওপর সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। তাই, ড্রেনের জন্য এটি ভাঙা হয়েছে।

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামরুল হাসান জানান, প্রকল্পের কাজ জানুয়ারি মাসে শুরু হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে শেষ হবে। ড্রেনটির দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। বিহালা এলাকার ঠান্ডা মিয়ার বাড়ি থেকে কুতুব মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত ড্রেনটি নির্মাণ হবে।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিহালা এলাকায় পানি নিষ্কাশন ও জলাবদ্ধতার নিরসনে ‘নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের’ আওতায় ১৫০ মিটার দীর্ঘ ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে কাজ সম্পন্নের কথা। কুতুব আলীর পরিবারের সদস্যরা পৌরসভার অনুমোদন ছাড়া সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে ফেলেন। ওই প্রাচীরের কারণে ড্রেনের কাজ ব্যাহত হচ্ছিল প্রাচীর ভাঙতে মালিকপক্ষকে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু, তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি। তাই, প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page