মোঃশাহজাহান খন্দকার কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলায়,উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় নিজ দলীয় কর্মীর নিক্ষিপ্ত চেয়ারের আঘাতে উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে। তিনি কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামীলীগের আসন্ন ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আগামী ১৪ তারিখ উলিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভার দিন ধার্য করা হয়। শনিবার (৮ অক্টোবর) উপজেলা অডিটোরিয়াম হলে উলিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সম্পাদক মন্ডলী সদস্যদের নিয়ে বর্ধিত সভা সফল করতে এক প্রস্তুতিমূলক সভা চলছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, সভার শুরু থেকেই সম্মেলনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি মুলক সভার পরিবেশ ছিল বেশ উত্তপ্ত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,
বক্তব্য চলাকালীন ক্ষুব্ধ সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আজাহার আলী রাজা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
গোলাম হোসেন মন্টুকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়ে মারেন। এসময় চেয়ার তার বুকে লাগলে তিনি মেঝেতে ঢলে পড়েন। উপস্থিত নেতাকর্মীরা আহত অবস্থায় গোলাম হোসেন মন্টুকে জরুরী ভিত্তিতে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু আহত হওয়ার খবর শুনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলী ও সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু তাকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। এবং উলিপুর উপজেলা থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, গোলাম হোসেন মন্টু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কে দেখতে আসেন।
এ ব্যাপারে সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আজহার আলী রাজার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ শুন্য থাকার সুযোগে দলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন মন্টু একাই দুই পদের প্রক্সি দিয়ে আসছেন।
জেলা সভাপতি জাফর আলী ভাই ও সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন মঞ্জু ভাই বেশকিছু দিন আগে উলিপুর এসে ইউনিয়ন ও পৌরসভার ত্রুটি পূর্ণ কমিটিগুলো পুনর্গঠন করার কথা বলে গেছেন।
কিন্তু সাধারণ সম্পাদক তার এসব পকেট কমিটি দিয়ে নিজে সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য কমিটি পুনর্গঠন না করায় আমি সভায় আপত্তি উত্থাপন করি। এমনকি এ সময় আমি তার দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরার চেষ্টা করি। এ সময় চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে উচ্চবাচ্য বলা শুরু করলে উভয়ের মধ্যে চেয়ার ছোড়ার ঘটনা ঘটে বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় দলের অভ্যন্তরে তীব্র অসন্তোষ ও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।