কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ব্যাটরিচালিত অটোরিক্সার ভাড়া ধার্যকে কেন্দ্র করে চিরাং ইউনিয়নের ছিলিমপুর গ্রামের দুই পাড়ার লোকজনের মাঝে রোববার (২ অক্টোবর) দুপুরে ভায়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ৫০ জনের অধিক লোক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানার পুলিশ ১৮ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। আহতদের মাঝে খলিলুর রহমান খান (৩০), তরিকুল ইসলাম (২২), রাতুল খান (২১), সাকিব (২২), রাব্বি (১৮) কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এদিকে আহত বাচ্চু মাষ্টার, ফয়সাল, মনির, রহমতুল্লাহ পার্শ্ববর্তী তাড়াইল উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। অপর পক্ষের ১৯জন কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) জুনাঈদ আফ্রাদ ও সঙ্গিও ফোর্সসহ কেন্দুয়া থানার ওসি আলী হোসেন পিপিএম। ১৮ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্দুয়া থানার ওসি আলী হোসেন পিপিএম জানান, এলাকায় পুলিশ মোতায়ন রয়েছেন এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
গ্রামবাসী জানান, চিরাং ইউনিয়নের ছিলিমপুর গ্রামের দুই অটোচালক মাইজ পাড়ার ইমরান এবং উত্তর পাড়ার সাইকুল ইসলামের মধ্যে দুই কিলোমিটার রাস্তার ভাড়া ১০ টাকা হবে না ১৫ টাকা হবে তা ধার্য নিয়ে শনিবার ঝগড়া হয়। পরদিন রোববার দুপুরে বিষয়টি মিমাংশা করতে উক্ত গ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল কবির খানরে উদ্যোগে সালিশ বসে। সালিশে বিষয়টির মিমাংশা না হয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টা খানেক সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০/৬০ জন আহত হয়েছেন।