প্রথম বাংলা – আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নূর হোসেনসহ অন্যা ন্য শহীদদের মহান আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশা সনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোল নকে বেগবান করে। সর্বস্তরের মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) শহীদ নূর হোসেন দিবস উপ লক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন,‘১৯৮৭ সালের এই দি ন যুবলীগ নেতা নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়ে ছিল ঢাকার রাজপথ। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দো লনে নূর হোসেন তার বুকে ও পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক,স্বৈরাচার নিপাত যাক’স্লোগান লিখে এই দিনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫-দলীয় ঐক্যজোটের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নূর হোসেন আমার গাড়ির সা থে সাথে হাঁটছিল, মিছিলটি যখন জিরো পয়ে ন্টে পৌঁছে তখন স্বৈরাচার সরকারের নির্দেশে মিছিল লক্ষ্য করে প্রথমে বোমা মারে;এরপরই গুলি করে;সে গুলিতে নূর হোসেন ও বাবুল শহী দ হন। ফাত্তাহ গ্রিন রোডে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
এছাড়াও যুবলীগের আরেক নেতা নূরুল হুদা ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো শহিদ হন। তাদের এই মহান আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণত ন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করে। সর্বস্তরের মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে স্বৈরাচারী সরকা রের পতন আরও ত্বরান্বিত হয়।’
তিনি আরও বলেন,গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই আ ন্দোলন-সংগ্রামে আরও নাম না জানা অনেকে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। অব্যাহত লড়াই-সংগ্রা মের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর অবশেষে স্বৈরশাসকের পতনের মধ্য দিয়ে গণত ন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। জনগণ ফিরে পায় ভোট ও ভা তের অধিকার।