গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নে পাইটকেলবাড়ী এলাকার প্রবাসী পল্লব সরকারের স্ত্রী নুপুর বালা, সুব্রত সরকারের স্ত্রী লাবনী বিশ্বাস, কল্লল সরকারের স্ত্রী মুক্তা বিশ্বাস ও কৃষক সুজন সরকারের স্ত্রী শিপ্রা বিশ্বাসকে জমিজমা এবং পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত ২শরা নভেম্বর বিকাল আনুমানিক চারটা ত্রিশ মিনিটে হামলা ও মারধর করে গুরুতর আহত করে এলাকার কথিত সন্ত্রাসী উৎপল, তার ভাই বিকাশ সরকার ও তার দলবল। আহতদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তী করা হয়েছে। এলাকাবাসী উৎপল ও তার ভাই বিকাশের অত্যাচার থেকে মুক্তি চায়।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, এই উৎপল সরকার ও তার ভাই বিকাশ সরকার এলাকার আনেককেই সামান্য ব্যপার নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় মারধর সহ অত্যাচার করে। উৎপল সরকার গত আনুমানিক দুই মাস পূর্বে পাশের মৈত্র বাড়ির সমির কুমার মৈত্র এর স্ত্রী উন্নত মৈত্রকে ক্ষুদ্র একটি ব্যপার নিয়ে অমানবিক ভাবে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এ ব্যপারে ঐ এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গন্যমান্ন ব্যক্তিরা ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করে মিটিয়ে দিলেও উন্নত মৈত্র বলেন ওরা আমাকে এখনও জরিমানার টাকাটা দেয় নাই।
তিনি আরো বলেন উৎপলের ভাই বিকাশ ভারতে বসবাস করে, ওখান থেকে বাংলাদেশে এসে আকাম-কুকাম করে আবার চলে যায়।
সন্ত্রসী উৎপলের হাত থেকে রেহায় পাই নাই এলাকার শিক্ষক ওমর সরকার। তাকেও সে বার বার হামলা ও মারধর করেছে বলে জানান এলাকাবাসী। ওমর মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এ ব্যপারে গোপালগঞ্জ সদর থানায় আহত প্রবাসীর স্ত্রী নুপুর বালা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জমি-জমা সংক্রান্ত ও পূর্বের শত্রুতার জেরে উৎপল সরকার ও তার ভাই বিকাশ সরকার তাদের দলবল প্রবাসীর ও এক কৃষকের স্ত্রীকে আমানবিক ভাবে মারধর করে আহত করে। সন্ত্রসীরা তাদের গলার চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ব্যপারে সাহাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিনয় সরকার আনাদির নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যপারটি আমি জেনেছি, তিনি আরো বলেন উৎপল ছেলেটার মাথাটা একটু গরম তবে ব্যপারটি আমি দেখবো।
এলাকার চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সকলেই জানে উৎপলের মাথাটা গরম। সে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে, জরিমানাও করছে চেয়ারম্যান সহ মুরব্বিরা। কিন্তু জরিমানার টাকাটাও ভুক্তভোগী পায় নাই।তাহলে জরিমানা্ করে লাভ কি। এই কারনেই উৎপল ও তার ভাই বার বার অন্যায় করে পার পেয়ে যাচ্ছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।প্রবাসীর স্ত্রীদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানান এলাকাবাসী।