ইকরামুল হক কক্সবাজার বিশেষ প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়ার সাহারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরীর বাড়ীতে মহিষ চুরির পলাতক আসা মী অবস্থান করছে। এ ধরনের খবর পেয়ে চকরিয়া থানার একদল পুলিশ সোমবার দিবাগত রাত ১২ টায় নবী হোছাই ন চৌধুরীর বাড়ীতে গেলে মামলার পলাতক আসামী ও শা হারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোসাইনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে।
হামলায় এসআইসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হয় সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন, চকরিয়া থানার এসআই আল ফোরকান ও কনস্টেবল ছদরুল আমিন।
এসময় হামলায় জড়িত অভিযোগে পাঁচ ব্যক্তিকেগ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতার ৫ ব্যক্তিরা হলেন,সাহারবলি ইউ নিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কোরালখালী গ্রামের টুক্কু মিয়ার ছে লে আরমান হোসেন (১৯),মোস্তফা কামাল (২৫),একই এ লাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে নুরশেদুল ইসলাম ছোটন (২০),শিব্বির আহমদের ছেলে জয়নাল উদ্দিন (৪২) ও সোনা মিয়ার ছেলে আমির হোসেন (৪৫)।পুলিশের কাজে বাঁধা ও হামলার ঘটনায় এসআই আল ফোরকান বাদী একটি মামলা রুজু করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে,প্রতিদিনের ন্যায়নিয়মি ত টহলে বের হয় থানা পুলিশের একটি টিম।রাতে চকরিয়া থানা ও মহেশখালী থানার দুুটি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্তআসা মী সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের বাড়িতে যায় পুলিশ। পুলিশ ঘরের দরজা খুলতে বললে আসামী নবী হোছাইন মোবাইলে তার বাড়ির পাশ্ববর্তী লোকজনকে পুলিশের উপর হামলার নির্দেশ দেন।
পরক্ষণে অনুমাানিক ৭০-৮০ জন নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে অস্ত্র গুলি কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পরিস্থিত অনূকুলে না থাকায় পুলিশ পিছু হটে। বিষয়টি অফিসার ইনচার্জকে অব হিত করলে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর হামলা কারী নারী পুরুষ পালিয়ে যায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে হামলা য় জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন,সাহারবি ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের বিরুদ্ধে চকরিয়া ও মহেশখালী থানায় দুটি মহিশ চুরির মামলায়ওয়া রেন্ট ছিল। সোমবার রাতে ওয়ারেন্ট তামিল করতে গেলে নবী হোছাইন ও তার লোকজন পুলিশের উপর হামলা করে
এ সময় বাড়ীর ভিতরের সুড়ঙ্গ দিয়ে নবী হোছাইন চৌধুরী পালিয়ে গেলেও হামলায় জড়িত অভিযোগে ৫ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি পুলিশ এসল্ট মামলা রুজু হয়। ওই মামলায় এজাহারনামীয় ২৪ জনসহ অজ্ঞাত আরো ৫০-৬০ জনকে জনকে আসামী করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ইউনিয়নের দ্বায়িত্বরত নাম প্রকাশেঅনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, রাত ১২ টার দিকে নবী হোছাইন চেয়া রম্যানের বাড়ীর গেইটে পুলিশের সাথে স্থানীয় পাবলিকের সাথে ধাক্কাধাক্কি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় পুলিশের একটি ওয়াকিটকি পড়ে যায়, তা উদ্ধার করতে সকালে একদল র্যাব সদস্য এসেছিল দেখেছি। বাকীটা আর জানি না।