নিজস্ব প্রতিবেদক”
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চন্দ্রগঞ্জ থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি আবু সিদ্দিক মুন্নার রাজনীতি করার কারণে। রাজনীতির প্রতি হিংসার মধ্যরাত্রে চরশাহী ইউনিয়ন।৭ নং ওয়ার্ড সৈয়দপুর’ গ্রামে খলিফার বাড়িতে বসত ঘরে ঢুকি লুটপাট,ও আগুন দিয়েছে ডাকাত সন্ত্রাসীরা আশেপাশে বোমা বিস্ফোরণ করে আতংক সৃষ্টি করেছে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাজায় তালা ভেঙে ঘরে বিতরে প্রবেশ করে স্টিলের আলমারি ভেঙে তিন % চার ভরি স্বর্ন ও নগদ এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছে। এবং ঘরের মুল্যবান সকল জিনিসপত্র ভেঙ্গে পেট্রোল বোমা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়,এক পর্যায়ে এলাকার আশপাশের লোকজন হতাশা।
প্রশাসনের সহযোগিতায় দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে সন্ত্রাসীদেরকে ধরা সম্ভব হয়নি,একপর্যায়ে ডাকাত সন্ত্রাসী রা পালিয়ে যায় তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে এলাকাবাসী মিলে আগুন নিভানোর সম্ভব হয়নি পুরো বিল্ডিং পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী পরিবারের গায়ে জামা কাপড় শেষ মুহূর্তে রইলো না এক জামা কাপড় দিয়ে ছেলেমেয়ে স্কুলে লেখাপড়া করতে যায়। খুবই দুঃখজনক ঘটনা এই কেমন জানোয়ার হতে পারে মানুষের বসতবাড়ি পেট্রোল বোমা দিয়ে ছাই করতে পারে।শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে জানা যায় শুক্রবার রাত্রে পাশের গ্রামে মাহফিল দেড়টার দিকে শেষ হওয়ার মধ্য বাড়িতে আগুন ও লুটপাট করে স্বর্ণ অলংকার টাকা পয়সা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসী রা। লক্ষ্মীপুরে পূর্বাঞ্চলের অধিকাংশ বাড়ির আগুন ও লুটপাট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা এতে হতাশা গ্রামবাসী
এ সময় আবু সিদ্দিক মুন্না সাথে কথা বলার সময় তিনি বলেন ১:১৫ মিনিটে আমাদের বাড়ির পাশে ৮-১০ টা বোমা বিস্ফোরণ করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাড়িতে ঢুকে আমাকে খুঁজে না পেয়ে আমার বাড়ির লুটপাট করে আগুন দিয়ে সব ভাঙচুর করে।
আমার পরিবারকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ছিলে আমরা নিরু পায় হয়ে প্রশাসনের মাধ্যমে ঘটনা স্থলে পরিদর্শন করে আলামত গুলো নিয়ে জব্দ করেছিলেন।আমরা সুস্থ তদন্তের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার জোরালো দাবি জানাচ্ছি।
এই সময় ভুক্তভোগী পরিবাররা জানান আমরা কি দোষ করেছি আমাদের বাড়ি ঘর আগুন দিয়েছো।এ কথা বলাতে তার গায়ে পেট্রোল বোমার আঘাত করে এবং তাকে অসভ্য গালিগালাজ করেছে। এই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।
আমাদের এত সুন্দর স্বপ্ন দীর্ঘদিন আমাদের পরিশ্রমে একটি ভবন তৈরি করেছিলাম। প্রতিহিংসা রাজনীতি সন্ত্রাসীরা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিলে।
আমাদের মত হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ জনতা হাহাকার করতেছে হতাশা দিন কাটাচ্ছে না জানি কার মায়ের বুক খালি হয় এই সন্ত্রাসী নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করবো।
বর্তমান দেশে পরিস্থিতি ভালো নাই জনগণের শান্তিতে রাত্রে নিরাপত্তায় ঘুমাতে পারে না প্রতিদিন রাত্রে সন্ত্রাসী দের মোটরসাইকেল সংঘবদ্ধ চলে হত্যা খুন ডাকাতি নির্যাতন ছাড়া সন্ত্রাসীরে আর কোন পরিকল্পিত নাই।
এ সময় চরশাহী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক ও ইউপি সদস্য দাউদ চৌধুরীর সাথে কথা বলার সময় তিনি বলেন,আমাদের ইউনিয়নে অনেক জায়গায় বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। রাত্রে ২ ঘটিকার সময় আমার মা হঠাৎ জেগে আমাকে বলে পাশের বাড়িতে নাকি ডাকাতি চলতেছে একপর্যায়ে আমরা সব ভাই মিলে উঠে ঘটনাস্থলে আসি। দেখি মোরশেদ বাড়ি আগুন দিয়েছে কে বা কারা দিয়েছে তা আমরা জানিনা।
বিএনপিকে প্রশ্ন মুখামুখি করার জন্য কিছু কুচক্রী মহল ডাকাতি সন্ত্রাসী করে বেড়ায় আমাদের বিএনপি ইউনিয়নে সভাপতি দেশের বাইরে ওমরা হজ্ব করতে গিয়েছে। অতি শীঘ্রই তাদেরকে খুঁজে বের করবো।আমরা গণতান্ত্রিক বিশ্বাসী আমাদের নেতা নির্দেশে কোন বাড়ির ঘর হামলা দেওয়া যাবে না তাই আমরা শান্তি শৃঙ্খলাতে সাধারণ জনগণের ঐক্য হয়ে কাজ করতে চাই।অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা সন্ত্রাসী চালিয়ে যাচ্ছে আর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে বিএনপি’র বিরুদ্ধে আমরা এ চোর ডাকাতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিব।
এই সময় আগুন দেওয়ার বিষয় লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলার সময় তিনি বলে” আমরা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি।কে বা কারা করেছে অভিযোগ করলে সুস্থ তদন্তের ভিত্তিতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যত বড় ক্ষমতাসীন ব্যক্তি হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে
ডাকাতি সন্ত্রাসীদের বিষয় চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বলেন,খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ রেজাউল হকসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাগুলো কারা ঘটিয়েছে তা তদন্ত চলছে।
এরকম জঘন্য কাজ করতে পারে আমরা কখনো দেখি নাই এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবার রা সনাক্ত করতে পারে নাই।অভিযান চলছে সুস্থ তদন্তর ভিত্তিতে তাদেরকে চিহ্ন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।