স্টাফ রিপোর্টারঃ–
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক আব্দুর রহিম ফারুক ও তার মামা প্রভাষক বেলাল হোসাইনকে জড়িয়ে সুবর্ণ কলরব নামের একটি ফেইসবুক পেইজ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার “চরজব্বর ডিগ্রি কলেজের লেকচারার পদে চাকরির জন্য ৩ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি চাচ্ছে স্থানীয় সাবেক এক ডিসির পুত্র” শিরোনামে কাল্পনিক তথ্যে পোস্ট করা হয়।২৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) প্রকাশিত পোস্ট ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চরজব্বর ডিগ্রি কলেজের বর্তমান রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক আব্দুর রহিম ফারুক।
প্রভাষক আবদুর রহিম ফারুক জানান, সুবর্ণ কলরব নামে একটি ভুয়া ফেইজবুক পেইজ থেকে আমার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল, উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে,আমার সুনাম নষ্ট করার লক্ষ্যে মিথ্যা, বানোয়াট ফেইজবুক পেইজে স্ট্যাটাস দেয়, আমার বাবা ঢাকা জেলার একজন সাবেক সুনামধন্য জেলা প্রশাসক ছিলেন,
সুনামের সাথে তিনি ডিসির দ্বায়িত্ব পালন করে এখন অবসরে আছেন, আমি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য, আমার পরিবারের কেউ কখনো কোন দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলো না, ভবিষ্যতে ও কোন প্রকার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবো না, আমি এ কাল্পনিক ঘটনার তিব্রনিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানাই।
এসময় তিনি আরো জানান, আমি ২০০৯ সালে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তর্ণ হই, (রোল নং ৪০৪১৩৪৮৮)। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক গত ২০১৩ সালের ২৩ মে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ ও আমার সংবাদ পত্রিকায় একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির পর গত ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বরে কলেজ নিয়োগ পত্র শেষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে গত ২০১৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যোগদান করি।
এছাড়াও ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বরে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশ বোর্ডে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি হয়। ওই কমিটিতে আহ্বায়ক ছিলেন একরামুল করিম চৌধুরী (এমপি) ও সদস্য সচিব সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ শাহজান। এবং ২০১৩ সালের ২০ মার্চ নিয়োগ অনুমোদন কমিটির ১২ জন সদস্যের মধ্যে সভাপতি একরামুল করিম চৌধুরী (এমপি) ও সাধারন সম্পাদক মো. শাহজান ছিলেন।
আমি সুবর্ণ কলরব নামের এই ভূয়া ফেইসবুক পেইজের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এবিষয়ে চরজব্বর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন ফরহাদ জানান, আমি গত ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে অধ্যক্ষ হিসেবে এ কলেজে যোগদান করি। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।