নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
আশ্রয়ণ প্রকল্পে আশ্রিতদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য চালু হয়েছে এক বিশেষ পাঠশালা। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ বাঁধ এলাকায় নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ পাঠশালাটি চালু করা হয়।জানা গেছে, উপজেলার রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ বাঁধ এলাকায় ওই প্রকল্পের ১৫টি ঘরে ১৫ জন ভূমিহীন বাস করেন।
সেখানে আশ্রিতদের সন্তানরা স্থানীয় বিভিন্ন বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করলেও অভিভাবক সচেতন না হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঝরে পড়ছে তারা। এদের ঝরেপড়া রোধ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমানের উদ্যোগে বৈকালিক বিশেষ পাঠশালা চালু করা হয়। আশ্রয়ণকেন্দ্রে আশ্রিত ২৩ শিক্ষার্থীকে নিয়ে পাঠশালা চালু করেন কেন্দ্রে আশ্রিত মাস্টার্স পড়ুয়া ছাত্রী শাহানাজ পারভীন।
পরে পার্শ্ববর্তী আরও প্রায় ৩০ জন দরিদ্র শিক্ষার্থী ছুটে আসে ওই পাঠশালায়। উৎসাহ বাড়াতে এসব শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন প্রকার শিক্ষা উপকরণও প্রদান করা হয়। ১ম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ৫০ জনের ওপরে শিক্ষার্থীকে দুটি গ্রুপে ভাগ করে পাঠদান করাচ্ছেন শাহনাজ পারভীন।
পাঠশালার শিক্ষিকা মোসা. শাহনাজ পারভীন জানান, নিজেদের বসতভিটা না থাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনিও আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি বাসায় থাকেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পে আশ্রিত শিশুদের লেখাপড়া থেকে ঝরে যাওয়া বন্ধ করতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বারান্দায় পাঠদান শুরু করেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আশ্রয়স্থল থাকার পাওয়ায় এসব পরিবারের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্কুলে যাচ্ছে। তারা যেন শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে না পড়ে সে জন্য এ বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।