মোঃ আরিফ হোসেন নিজস্ব প্রতিনিধি লক্ষীপুর
নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে খোকন, কিছুদিন আগে চাকরির জন্য বিদেশ গিয়ে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তার শরীর খারাপ লাগতে শুরু করে। বিভিন্ন হাসপাতালে পরীক্ষা করে জানা যায় তার দুটো কিডনি কষ্ট হয়ে গেছে এমন অবস্থায় তাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দেশে এসে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করেও তার কোনো উন্নতি হয় নি। তাকে প্রতিদিন অনেক টাকার ঔষধ খরচ চালাতে হয়। কিন্তু তার পক্ষে এখন এই খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানায় খোকন হোসেন ৭ নং বশিকপুর ইউনিয়নের বালাশপুর গ্রামের নোয়াবাড়ীর আবু তাহেরের ছেলে। ৫ বোনের মধ্যে ১ ভাই খোকন। তাই পরিবারের সকল দায়িত্ব তার উপর ছিলো। খোকন হোসেন ১০ বছর আগে বিয়ে করেন। তার দুটি মেয়ে রয়েছে। তার বাবা সামান্য একজন কৃষক। তার পক্ষে এখন খোকনের চিকিৎসার খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
স্বরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খোকনের পারিবারিক অবস্থা ভালো না। খোকন বিদেশ থেকে যা আয় করে পাঠাতো তা দিয়ে তাদের পরিবার চলতো।
কিন্তু খোকন হোসেন অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর থেকে তার পরিবারের খরচ চালাতে অনেক অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। একদিকে খোকনের চিকিৎসা খরচ অন্য দিকে তার পারিবারিক খরচ চালাতে তার বাবার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
তার বাবা আবু তাহের বলেন, খোকন হলো আমার একমাত্র ছেলে কিছু দিন হয়েছে অনেক কষ্ট করে তাকে বিদেশে পাঠিয়েছি। কিন্তু গত ঈদুল আজহার পরে তার অসুখ দেখা দেয়। ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার তার দুটি কিডনি কষ্ট হয়ে গেছে বলে জানায়।
তখন তাকে বাড়ীতে নিয়ে এসে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পরেও তার কোনো উন্নতি দেখতে পারছি না। তার চিকিৎসা চালাতে আমার পক্ষে অসম্ভব হশে পড়েছে। তাই দেশবাসীর কাছে তার জন্য কিছু সাহায্যের আবেদন করছি। আপনারা আমার ছেলেকে সুস্থ করার জন্য যে যা পারেন সাহায্য করুন।
সাহায্য পাঠানোর জন্য সরাসরি রুগির নাম্বার বিকাশ নাম্বার ০১৭০৪৭৮৬৪৯১