আবুল হাশেম রাজশাহী ব্যুরোচীফঃ
জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে ব্যবসা বা ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।১৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন কালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ করতে হবে। ‘জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলবে, তা হতে দেওয়া হবে না। জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কাউকে ব্যবসাও করতে দেওয়া হবে না।
এ জন্য ইতিমধ্যে প্রায় দুই হাজার হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে। অনেক হাসপাতাল-ক্লিনিক কাগজ কলমে ঠিক থাকলেও বাস্তবে তাদের যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকায় বন্ধ করা হয়েছে।
নিয়ম মেনে শর্ত পূরণ করলে তা আবার খুলে দেওয়া হবে। ‘আমাদের সরকারি কিছু নিয়মনীতি আছে। স্বাস্থ্যসেবার কোনো প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সবিহীন পরিচালনা করা যাবে না। আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছি কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তারা যদি লাইসেন্স নবায়ন করে তাদের যদি সঠিক যন্ত্রপাতি-জনবল থাকে তাহলে তাদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে যারা শর্ত পূরণ করেছে তাদের আবার পরিচালনা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। শর্ত পূরণ না হলে দেওয়া হবে না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে জনবলের কিছু সংকট দেখেছেন। আউটসোর্সিং ও নিয়োগের মাধ্যমে জনবলের ঘাটতি পূরণ করার জন্য বলেছেন। হাসপাতালটিতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগী থাকেন। সে জন্য ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রাজশাহী সদর হাসপাতাল দীর্ঘ দিন ধরেই বন্ধ। এখন সেখানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের কার্যক্রম চলে। করোনার সময় হাসপাতালটি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। শুরু হয় সংস্কার কাজও। যাবতীয় প্রস্তুতি থাকা স্বত্বেও হাসপাতালটি চালু হয়নি।
এ হাসপাতাল প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সদর হাসপাতালটি আমরা চালু করতে চাই। এখানে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা হবে। পাশাপাশি ডেন্টাল ইউনিটেরও কার্যক্রম থাকবে। কীভাবে কী করা যায় সে বিষয়ে কথা বলতেই এসেছি। এখন সবার সঙ্গে মতবিনিময় করব।’
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী,
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।