প্রথম বাংলা – বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্ব যুবাদের একত্রিতকরণে বিওয়াইএলসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্বের রোল মডেল। সীমিত সম্পদের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের মাধ্যমে জলবায়ুর বিরুপ পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রশংসনীয় কাজ করায় তিনি জাতিসংঘের পরিবেশ-বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পদক পেয়েছেন। তারই নেতৃত্বে ‘ডেলটা প্লান-২১০০’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনে সহনশীলতা আনয়নে সকলকে একত্রে কাজ করে যেতে হবে।
২২ অক্টোবর শনিবার
বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশীপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি) কর্তৃক খুলনাস্থ আভা সেন্টারে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘গ্লোবাল ইয়ুথ ক্লাইমেট সামিট ২০২২’- এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পীকার আজ এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাবেক প্রফেসর এবং সামিটের কো-স্পন্সর স্যার ক্রিস্টোফার বল ভার্চুয়ালি তাদের বক্তব্য প্রদান করবন। গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইজাজ আহমেদ, সামিটের কো-অর্ডিনেটর সোহানুর রহমানও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
স্পীকার বলেন, প্রত্যেক গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ে নারী এবং মেয়েরাই পরিবর্তন আনয়ন করে। তিনি বলেন, নারীদের উপরই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব সর্বোচ্চ মাত্রায় পড়ে। তাই স্থানীয়ভাবে এবং সহনশীল উপায়ে জলবায়ু অভিযোজনে নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, তরুণ প্রজন্মকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এগিয়ে আসতে হবে। জলবায়ুর বিরুপ পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
এই সামিটে দশজন যুব প্রতিনিধিকে তাদের জলবায়ু প্রশমন বা অভিযোজন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রত্যেককে এক হাজার ডলার অনুদান প্রদান করা হয়।
তিন দিনব্যাপী এই সামিটে বিশ্বের ৭০টি দেশের ৬৫০ জন যুব প্রতিনিধি অংশগ্রহন করেন। এছাড়া সামিটে বিওয়াইএলসি এর সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গনমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।