রাশেদুল ইসলাম রিয়াদ জাজিরা (শরীয়তপুর)
খেতে ধানের আবাদ না করেও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ধান কেটে নেয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার জাজিরা ইউনিয়নের সাথী আক্তার (৩৪)। স্থানীয়রা জানান, প্রতিপক্ষের সাথে দীর্ঘদিন ধরে চলা জমি নিয়ে বিরোধ এর জেরেই এমনটা করেছেন তিনি।
সাথী আক্তার বাদী হয়ে করা মামলার এজাহারে দাবি করা হয়, প্রতিপক্ষ গোলাম মোস্তফা মাদবর (৬০ (সুফিয়া আক্তার (২৫), হায়দার মাদবর (৫৫) রানু বেগম (৩৫) হিমেল বেপারী (১৯) সহ ১০-১৫ জন বদলা কামলা নিয়ে জোর পূর্বক তাদের চাষকৃত জমি থেকে ধান ও ধইঞ্চা কেটে নিয়ে গেছে।তবে ঘটনাস্থলে গেলে সাথী আক্তারের কথার সাথে মিল পাওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজন জানান, এই জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছিলো। তারা পাট বুনেছে এবং তারাই পাট কেটেছে৷ অন্য কেউ তাদের জমিতে আসেনি।
জানা গেছে, সাথী আক্তারের স্বামী লিটন মাদবর সহ তার দেবর খোকন মাদবর ভাসুর রিপন মাদবর ও বোন জামাই সামচু মাদবরদের সাথে একই গ্রামের সুফিয়া বেগম ও তার পরিবারের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তারই সূত্র ধরে প্রতিপক্ষকে হেনস্তা করতেই এমন মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছেন সাথী।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, তারা টাকাপয়সা এবং ক্ষমতায় আমাদের থেকে বেশি। তাদের ফসল কেটে আনা তাদের পক্ষে সম্ভব না। উল্লেখিত জমিতে তারা পাট বুনেছিলো। নিজেরাই সেই পাট কেটেছে। শুধুমাত্র আমাদের হয়রানি করতেই মিথ্যা মামলা দিয়েছে তারা।
স্থানীয় ইউপি ৩ নং ওয়াডের মেম্বার মোঃ মান্নান আকন বলেন, ধান কাটার মৌসুম এখনো আসেনি। এসময়ে কেউ ধান কাটে না। তা ছাড়া আমি স্থানীয়দের সাথে কথা বলে যানতে পারি ঐ জমিতে পাট আবাদ করছেন সাথী আক্তারের স্বামী রিটন মাদবর সেই পাট কেটে তারাই নিয়েছেন ঐ জমিতে কোনো ধানের আবাদ করা হয়নাই, সুফিয়া ও সাথীদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। হয়তো এজন্যই এমন মামলা করতে পারে সাথী আক্তার।
এদিকে ঘটনা সম্পর্কে একাধিকবার সাথী আক্তারকে মুঠোফোনে কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তাদের বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। সাথী আক্তারের শাশুড়ী নূর জাহান বেগম পাওয়া গেলে তিনি বলেন, ওই জমিতে তার ছেলেরা পাট বুনেছিলো। তারাই ওই জমির পাট কেটেছেন ঐ জমিতে আমার ছেলেরা ধান চাষ করেনি।