নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (৩১ অক্টো বর) ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ (১ম আদালত) মাসুদুল হক এই আদেশ দেন। আদালতের নিষে ধাজ্ঞার একটি কপি মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিরো ধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ স্পি কার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে জমা দিয়েছেন। দলটির দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ সাংবাদিকদের বলেন,জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে দলী য় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর একটি কপি স্পিকারের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।আদাল তের আদেশে বলা হয়,১ নম্বর প্রতিপক্ষ (অর্থাৎ জিএম কাদের) ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের গঠনতন্ত্রের আলোকে পার্টির কোনো সিদ্ধান্ত যাতে গ্রহণ করতে না পারে কোনো কার্যক্র ম চালাতে না পারে সেই মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া হলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা,দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার আলোকে আদালত সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
এ সর্ম্পকে জিয়াউল হক মৃধা সাংবাদিকদের বলেন,একটু অপেক্ষা করুন বুধবার (২ নভেম্বর) সকালে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।’ তবে কোথায় কখন সংবাদ সম্মেলন হবে সে সর্ম্পকে তিনি কিছু জানাননি।অপরদিকে, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা,চিফ হুইপ পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত নেননি স্পিকার।
এ সম্পর্কিত মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টি সংসদে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েও শেষ পর্যন্ত অধিবেশনে অংশ নিয়েছে। বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের মঙ্গলবারও অধি বেশনে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু মাগরিবের নামা জের বিরতির পর তাকে আর দেখা যায়নি।
চিফ হুইপ মশিউর রহমান অধিবেশনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার আসনে উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি অধিবেশনের আগে স্পিকারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তিনি আদালতের রায়ের কপিটি স্পিকারের কাছে পৌঁছে দেন বলে জানান।এদিকে, বিরোধীদলীয় নেতা ও চিফ হুইপ পরিবর্তন নিয়ে জাতীয় পার্টির মহা সচিব মুজিবুল হক চুন্নু সারাবাংলাকে বলেন, স্পিকার সময় চেয়েছেন। দেখা যাক কী হয় এরপর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
আর স্পিকারের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বিরোধীদলীয় নেতা ও চিফ হুইপ পরিবতর্নের বিষয়টি নিয়ে নিয়ম-কানুন (রলস অব প্রসি ডিউর) খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁও একটি চিঠি দিয়েছেন। সবকিছু দেখে যাচাই-বাছাই করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।