তিনি বলেন, ‘আমার ১০ বিঘা জমির জন্য সার কিনতে ডিলারের কাছে গেলে পটাশ সার ৮০০ টাকার স্থলে ১০২০ টাকা চাওয়ায় ক্রয় করিনি। কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেছি। তেমন সাড়া পাইনি।’
বংপুর এলাকার কৃষক আরিফ আলী বলেন, ‘২৬ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করে বেকায়দায় রয়েছি। পটাশ সারের প্রয়োজন, অথচ কোথাও পাচ্ছি না। একেকজন একেক কথা বলছে।’ উপরোক্ত কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগের সময় তাদের কাছে প্রশ্ন ছিল আপনারা সার পাচ্ছেন না? তার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেছেন কি?
জবাবে তারা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গানিউল ও আব্দুর রাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছেন, এখন সারের সঙ্কট রয়েছে। সার এলে সমস্যার সমাধান করা হবে। সবার জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়েছে।’
এদিকে বেশকিছু সারের দোকান পরিদর্শন করে দেখা যায়, কিছু কিছু দোকানে সার রয়েছে। অথচ নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সার ডিলাররা বলেন, গোমস্তাপুর কৃষি অফিস থেকে স্লিপ আনলে ন্যায্যমূল্যে সার দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার কথা হয় গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভির আহমেদ সরকারের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘গোমস্তাপুর উপজেলায় ইউরিয়া সারের কোনো সঙ্কট নেই। তবে ডিএপি ও পটাশের কিছুটা সঙ্কট রয়েছে। সেটাও অল্প দিনের মধ্যেই কেটে যাবে। চলতি মাসে ইউরিয়া সারের বরাদ্দ ছিল ১২শ মেট্রিক টন, উত্তোলন হয়েছে ১১৪৫ মেট্রিক টন। পটাশ বরাদ্দ ১৮৫ মেট্রিক টন, উত্তোলন করা হয়েছে ১৪৬.৪ মেট্রিক টন তিনি আরও জানান, চলতি মাসে সারের সঙ্কট কেটে যাবে। কৃষকদের অভিযোগ সার পাচ্ছে না-প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইউরিয়া ও ডিএপি সার জমিতে একটু দেরিতে হলেও প্রয়োগ করা যায়। কিন্তু পটাশ সারটি নির্দিষ্ট সময়েই দেওয়া দরকার।’
যদি কোনো কৃষকের সার পেতে সমস্যা হয়, তবে সেই কৃষককে তিনি কৃষি অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। সারের ডিলার কর্তৃক অতিরিক্ত দাম নেওয়ার বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রহনপুর বাজারের বিসিআইসির সার ডিলার মেসার্স সাইদুর রহমান ট্রেডার্সকে সারের অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার কারণে ইতোমধ্যে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’ এর পরও তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্নে তিনি সদুত্তর দেননি।