নিজস্ব প্রতিবেদক প্রথম বাংলা – তুরাগে ঢাবির ছাত্রী অপহরণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিদেশি পিস্তলসহ চারজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ শাকিল আহম্মেদ রুবেল, মোঃ আকাশ শেখ, দেলোয়ার হোসেন ও মোঃ হাবিবুর রহমান।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর ২০২২) রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে ডিবি উত্তরা জোনাল টিম।
গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগজিন, ১টি ওয়্যারলেস সেট, ২টি পুলিশ স্টিকারযুক্ত মোটর সাইকেল ও ছিনতাই করা ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আজ রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর ২০২২) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ সংক্রান্তে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
তিনি বলেন, গত ২৫ আগস্ট দুপুরে ঢাবির গাড়ি থেকে এক ছাত্রী মিরপুর বাসায় যাওয়ার জন্য কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ডে নামেন। কিছুদুর যাওয়ার পর শাহী মসজিদের সামনে আসলে।
অপরিচিত মোটর সাইকেল চালক পুলিশ পরিচয়ে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দিয়াবাড়ির নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে ছুরির ভয় দেখিয়ে তার গলার চেইন, কানের দুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাগজ পত্র নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওইদিন তুরাগ থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
গোয়েন্দা প্রধান বলেন, মামলাটি রুজু হওয়ার পরপরই থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবির উত্তরা বিভাগের ডিসি শফিকুল আলমের নির্দেশনায় একটি টিম কাজ শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের অপরাধের কৌশল সর্ম্পকে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মোঃ শাকিল আহম্মেদ ওরফে রুবেল ছিনতাই করা মোটর সাইকেলে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে ওয়্যারলেস সেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের টার্গেট করে। একাকি পেয়ে কাছে অবৈধ মাদক আছে বলে তাকে মোটর সাইকেলে উঠিয়ে নির্জন কোথাও নিয়ে যায়।
এরপর তার নিকটে থাকা দামী জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় ও অশালীন আচরণ করে। এটা তার পেশা ও নেশা হয়ে গিয়েছে। এ পর্যন্ত সে ১৫০০ অধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ও ৫০ এর অধিক অশালিন আচরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে।
প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। তার নামে ছয়টি দস্যুতার মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। গ্রেফতারকৃত বাকি তিনজন তার এই কাজে সহায়তা করে থাকে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপির আদাবর থানায় অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা রুজু হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের সকল সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ডিএমপির গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী শফিকুল আলম, বিপিএম (সেবা) এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আছমা আরা জাহানের তত্ত্বাবধানে উত্তরা জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার বদরুজ্জামান জিল্লুর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
সুত্র, DMP news