প্রথম বাংলা – দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে ০৭টি অভিযোগের বিষয়ে (০৩টি অভিযান ও ০৪টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ) পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের মাধ্যমে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুমিল্লা হতে ৩ জুলাই ২০২৪ খ্রি. একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে টিম ছদ্মবেশে উক্ত অফিসের সার্বিক সেবাদান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। পরবর্তীতে টিম আগত সেবাপ্রার্থী দের নিকট হতে তথ্য সংগ্রহ করে। অভিযানকালে অফিসে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আনসার সদস্যদেরকে অভিযো গের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেবাপ্রার্থীরা যেন কোনরূপ হয়রানির শিকার না হয় সে লক্ষ্যে পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালককে সেবার মানোন্নয়ন ও গ্রাহক ভোগান্তি হ্রাসের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ এবং পাসপোর্ট অফিসের আশেপাশে অবস্থিত কম্পিউটার দোকানকেন্দ্রিক গড়ে ওঠা দালালচক্র নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত তদারকির পরামর্শ দেয় দুদক টিম।
অপর দুইটি পৃথক অভিযানে :
ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইলে টেন্ডার ছাড়াই সরকারি সড়কের পাশের গাছ কাটার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ময়মনসিংহ হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে নান্দাইল মুশুল্লী চৌরাস্তা হতে কালীগঞ্জ পর্যন্ত ৩ কিমি রোড প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন কাজে ১৯৯৩-৯৪ সালে সৃজনকৃত ৫৬টি মেহগণি, আকাশমণি ও শিশু গাছ হতে ২৭টি গাছ টেন্ডার ছাড়াই কর্তন করে পরবর্তীতে টেন্ডার আহবান করে বিক্রয় করা হয় মর্মে এনফোর্সমেন্ট টিম জানতে পারে। টিম কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের অফিস হতে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তথ্যাবলি পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
সাব-রেজিস্ট্রার, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর -এর বিরুদ্ধে জমির দলিল রেজিস্ট্রেশন বাবদ ঘুস দাবি করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চাঁদপুর হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে সাব-রেজিস্ট্রারকে প্রদানের দাবি করে জনৈক দলিল লেখক মোমিন হোসেন জামাল কর্তৃক সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার সত্যতা পায় টিম।
পরবর্তীতে দুদক টিম প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সাব-রেজিস্ট্রার, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর এর বক্তব্য রেকর্ড করে ও নথিপত্র সংগ্রহ করে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।