স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের দেওপুরা মোড়ে প্রায় ১১টি দোকানের তালা কেটে মালামাল নিয়ে গেছে ডাকাতরা। এসময় গামেন্টস কীটনাশক, টেলিকম ও চালের আড়ৎসহ বিভিন্ন দোকান থেকে নগদ টাকা এবং মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
কীটনাশক দোকান মালিক জাকারিয়া জানান, তার দোকানের তালা ভেঙ্গে লক্ষাধিক টাকার কীটনাশক নিয়ে গেছে ডাকাত দল। গার্মেন্টেস মালিক মনির হোসেন জানান, রাতের ডাকাতির ঘটনায় তার গার্মেন্টস দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে সাড়ে ৭হাজার টাকা ও এক লাখ বিশ হাজার টাকার পোশাক নিয়ে গেছে। মানিক টেলিকমের মালিক মানিক জানান, তার টেলিকমের দোকান থেকে কম্পিউটার প্রিন্টার ,মোবাইলসহ অনেক মালামাল ছিলো। দোকান থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার বেশী মালামাল তালা কেটে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।
চাউল আড়ৎ মালিক সাইফুল ইসলাম জানান, তার আড়ৎ থেকে ১৩ বস্তা চাল নিয়ে গেছে ডাকাতরা। মামুনের দোকান থেকে ৭ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এছাড়া হামিদ, সুজন, সাদিকুল, তোসাদ্দেক, রাজ্জাক, শাহজাহান ও রুবেলের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
নাইট গার্ড গনেশ কর্মকার জানান, আমি ও সচিন দুইজন রাতে গার্ডের ডিউটিতে ছিলাম। রাত আনুমানিক দুইটার দিকে ১০/১৫ জনের একটা দল এসে আমাদের চোঁখ বেধে দেয়। আমরা দুই নাইট গার্ডসহ আরো তিনজন সেখানে ছিলাম। মোট পাঁচজনকে তারা ধরে নিয়ে গিয়ে কিছুটা দূরে আম গাছের সাথে বেঁধে রাখে। তারপর তারা দোকানের মালামাল পিকআপে করে নিয়ে চলে যায়।তারা যাওয়ার আনুমানিক ১৫ মিনিট পর পুলিশের গাড়ি আসে। আমি চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে আমাদের সাথে বেঁধে থাকা অন্যজন আমাকে বলতে বারণ করে মারার ভয়ে। তারপর একজন দাঁত দিয়ে রশি কেটে অন্যদের ছাড়ি।
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমাস আলী সরকার জানান, শনিবার গভীর রাতে দেওপুরা এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানের ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় দোকান গুলোর তালা ভেঙ্গে মালামাল নিয়ে যাওয়ার আলামত পেয়েছি। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি, অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।