———— নুড়ি পাথর——
তারিখঃ ১৭.০৯.২০২২ ইং
লেখার সময়ঃ
দুপুর ২-২৮ মিঃ কলমে – মোল্লা হারুন উর রশীদ
নিজের অধিকার আদায়ে
বেদনার লড়াইয়ে
নিজেকে সাজাতে
নিজের বেদনার কথা মালা আজি ফুলদানিতে।
বলাই হলোনা, না বলা কথা, রেখেছি নুড়ি পাথরের ফুলদানিতে।
দালাল আর তদবিরে ভরা সমাজটা
বিষম ব্যাথায় বিষম ব্যাথায়
হতাশার ফুলদানিতে
মুজলুমরা রাখছে মালা।
আজব হে হরদম বাপি
তুমি নিজেকে জাহির করতে
তরঙ্গে তরঙ্গে ভেলায় ভাসছো
পরিশেষে হয় অবেলা।
কিনারায় গিয়ে
সমালোচনার মসনদে বসছো।
একদিন আসবে জোয়ার
শরীরে ধরবে তোমার বেমার।
পাশে থাকবে না কেউ
পাবে শুধু ধিক্কার।
জেগে আছো তুমি, বিদ্রোহী প্রলাপে
কিসের গর্ব তোমার।
শোনো হে হরবাপি
লেখাপড়া শিখে
মামা ছিলো বলে
চাকুরী হয়েছে তোমার।
যাদের মামা নেই
তাদের চাকুরী নেই
এর জন্য তোমার অত আত্ম অহংকার
হরবাপি দিবানিশি ঢের ভাব তোমার।
আহ্! ব্যাথা লাগে হৃদয়ে
যত দেখি তোমারে
ভুল পথে হেটে চলো
বারণ শোন না
এ কেমন তোমার ব্যবহার।
ভুল বকো, হরবাপি
তেল বাবু শোনে
তোমার আচরনে
সমাজ তোমাকে নাহি গুনে।
মনে রেখো হরবাপি
লেখাপড়া আমিও শিখেছি
তোমার চেয়ে ঢের বেশি
সমাজ আমাকে এমনিতেই মানে।
হরবাপি তোমার হাসিতে সবাই হাসি দেয় এটা ভেবে নেও
তোমার হাসির পিছনে
সবাই তোমাকে গালি দেয় সেটি ভাববার পাও!
সমালোচনার ভিখ দেয় ওরা
তুমি কি জানো ওরা কারা
ধিক্কার জানায় তোমাকে ওরা
তুমি পাপি
তুমি মিথ্যাবাদী
তুমি হিংসুক চাটুকার!
নিজেকে প্রশ্ন করো
তুমি কি একাই সমাজে বড়ো
এটি ভাবো কেনো বারবার!
অল্পতে খুশি থেকো
লোভে পড়িওনা আর।
বড় বড় জ্ঞানী গুনিদের জীবনী পড়ো।
ভুল বকোনা আর।
ডাগর চোখে দেখি তোমায়
নি:শ্বাসে তোমার বিষ!
জগত জুড়ে
ভালো মানুষ দেখো ঘুড়ে
নিজেকে মিলে নিও
তোমার মতো করে।