রাশেদুল ইসলাম রিয়াদ জাজিরা (শরীয়তপুর)
শরীয়তপুরের পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানায় বাল্কহেডের ধাক্কায় এক জেলে নিহত হয়েছে।শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানাধীন জৈনুদ্দিন মাদবর কান্দি গ্রামে পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।নিহত আবুল কালাম মোল্লা (৪০) পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানা ধীন জৈনুদ্দিন মাদবর কান্দি গ্রামের বাসিন্দা মৃত রকমান মোল্যার ছেলে। তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আবুল কালাম মোল্লা প্রতিদিন রাতে পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে যেতেন। আবার ফজরের আজানের সময় নাওডোবা মাছবাজারে মাছ বিক্রি করে বাড়িতে ফিরতেন।শনিবার রাত তিনটার সময় স্থানীয় জেলে দাদন মল্লিক,আলতু মোল্লা,সিদ্দিক হাওলাদার ও আবুল কালাম মোল্লার ছেলে রাকিব মোল্লা সহ মাছ ধর্যে পদ্মা নদীতে মাছ যান। তারা নদীতে জাল ফেলে অপেক্ষা করছিলেন জাল উঠানোর জন্য।
হঠাৎ পদ্মাসেতুর জাজিরার দিক থেকে আসা একটি বাল্কহেড মাছ ধরার ট্রলারের উপরে উঠিয়ে দিলে কালাম মোল্লা নিখোজ হন। বাকিরা নদী সাতরে পাড়ে আসতে সক্ষম হয়।জাজিরার মাঝিরঘাট নৌ পুলিশ ও জাজিরা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের যৌথ অভিযানে নিখোজের ১৪ ঘন্টা পরেরবিবার (২৪সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার সময় নিখোজ কালাম মোল্লার লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
স্বজনদের অভিযোগ, পদ্মা নদী দিয়ে প্রতিদিন রাতে শত শত অবৈধ বাল্কহেড যাওয়া–আসা করে। তাঁরা রাতের বেলায় বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। তাদের বেপরোয়া চলাচলের কারনেই আজ আমরা কালাম মোল্লা কে হারালাম। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমের দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
মাঝির ঘাট নৌ পুলিশের ইনচার্জ মোফাজ্জেল হক বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে এসে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। দীর্ঘ ১৪ ঘন্টা খোজা খুজির পরে আমরা কালাম মোল্লার লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হই।ধারনা করা হচ্ছে বাল্কহেডের সাথে ধাক্কা লেগে কালাম মোল্লা মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং বাল্কহেডের নিচে চাপা পড়ায় তার মৃত্যু হয়।উদ্ধারকৃত কালাম মোল্লার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।