নিজস্ব প্রতিবেদক প্রথম বাংলা – প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষনা ইনস্টি টিউট (বিনা) ময়মনসিংহ দেশের কৃষি সেক্টরে যুগান্তকারী ভ’মিকা রেখে আসলেও সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ন এই প্রতিষ্ঠাটির গবেষনা সহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
কর্মচাঞ্চল্যে স্থবিরতা এসে যাচ্ছে স্বজনপ্রীতি ঘুষ-দুর্নীতি শুরু হচ্ছে। গবেষনা কাজেও পিছিয়ে যাচ্ছে। বিনা’র বর্তমান পরিচালক (প্রশাসন) ড. আবুল কালাম আজাদের স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে অভ্যন্তরীন বিশৃংখলা দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে তিনি কৃষি গবেষনা প্রতিষ্ঠান বিনা’র অফিসিয়াল গুরুত্ববহ ও গোপন তথ্যাদি ফাঁস করে হট্টগোল লাগিয়ে রাখেন। বিনা’র বিরুদ্ধে মামলায় জড়িত বিনা’র কর্মচারী ও জামায়াতের সক্রিয় কর্মী আলতাফ মাসুদকে তিনি বিভিন্ন ভাবে গোপনে সহযোগিতা করেন।
এবং মামলাটি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানিয়ে দেন-দিচ্ছেন। ড. আবুল কালাম আজাদ ইতোপূর্বেও বিনায় গোপনে প্রতিষ্ঠিত জামায়াত গ্রুপের সঙ্গে সুকৌশলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।
বিশেষ করে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। যার ফলে বিনা’র প্রশাসনিক পরিবেশ- ব্যবস্থা নষ্ট হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটিতে গবেষনা কার্যক্রম চালাতে বেশ কিছু ঠিকাদারী কাজ হয়। ওইসব কাজের ঠিকাদারের বিল ফাইল পিছু উল্লেখযোগ্য পরিমান আর্থিক নজরানা আদায় করেন তার পি এ’র মাধ্যমে।
এবিষয়ে পিএ জানান, আমি পরিচালক (প্রশাসন) দপ্তরে কাজ করতে চাই না, এখান থেকে এমনকি চাকুরী থেকেই আমি চলে যেতে চাই। কারন পরিচালক (প্রশাসন) প্রতিটি ফাইল থেকেই টাকা চান। এ কাজটি না করলেই তিনি ধমকি দেন-বদলীর হুমকি দেন। যার রেকডিং আছে।
রাজস্ব আউট সোসিং নিয়োগ ক্ষেত্রে পরিচালক প্রশাসন তার নিজ এলাকার কোম্পানীকে কাজ দেয়ার কারনে নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। যা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা রয়েছে। পরিচালক (প্রশাসন) এর এসব দুর্নীতি ও অযোগ্যতার কারনে বিনা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ।