পুলিশের সহযোগিতায় মুক্ত, সুষ্ঠ তদন্তে বেড়িয়ে আসতে পারে অনেক অজানা কাহিনী
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পাবনার ঈশ্বরদীতে মটরসাইকেল যোগে দুটি ব্যাগ ভর্তি ২’শ পিস ফেন্সিডিল তারা ঈশ্বরদীতে নিয়ে আসছিলেন। এসময় তাদের মটরসাইকেলটি ঈশ্বরদী ইয়ারপোর্ট মোড় এলাকায় গতিরোধ করে, ন্যাংড়া বিপু, পুলিশের সোর্স আশিক সহ ৩/৪ জন। আটককৃত ব্যাক্তিদের হাতে পুলিশের হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে দেয় আশিক ও ন্যাংড়া বিপু।
তাদের কাছে ছিল পুলিশের ওয়াকিটকি একপর্যায়ে আটককৃতদের ইয়ারপোর্ট এলাকার পরিত্যক্ত এপেক্স কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ফেন্সিডিল ছেড়ে দেয়ার কথা বলে নগদ টাকা দাবি করেন।
শুরু হয় দর কষাকষি দরকষাকষিতে বনিবনা না হওযায় ঈশ্বরদী থানার এএসআই সাফিরুলকে খবর দেন পুলিশের সোর্সরা। খবর দাতাকে এএসআই সাফিরুল বলেন মালের গায়ে কোন শালা হাত দিলে খবর আছে। ঐদিন বিকেলে পুলিশ অফিসার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সোর্স দের সাথে দেনদরবার করে মিমাংসা করেন।
এদিকে ফেন্সিডিল বহনকারীরা তাদের পরিচিত ঈশ্বরদীর জনৈক একজনের কাছ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ঈশ্বরদী ইসলামীয়া ব্যাংকের একাউন্ট এর বুথ থেকে তুলে পুলিশের সোর্স আশিকের হাতে দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন একটি সুত্র। টাকা পাওয়ার পর ফেন্সিডিল বহনকারীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার অফিসার্স ইনচার্জ অরবিন্দ সরকারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। আপনি জানাচ্ছেন এর জন্য ধন্যবাদ। বিষয়টি আমি দেখছি, এদিকে এএসআই সাফিরুল আমাদের আরেক প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনে জানান, এরকম কোন ঘটনা্য় ঘটেনি। তবে বিষয়টির জন্য ওসির সাথে কথা বলতে বলেন।
এই ঘটনা জানাজানি হলে ঈশ্বরদী বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন উঠেছে, গত মাসে ভুয়া ডিবি সেজে কয়েকটি ছিনতাই এর ঘটনা ঘটেছে। এসব ছিনতাই এর সাথে কথিত পুলিশের সোর্স ন্যাংরা বিপু ও আশিক গংরা কি জড়িত?
পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনা সুষ্ঠ তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসতে পারে অনেক অজানা কাহিনী। বিষয়টি তদন্ত পুর্বক দোষিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ঈশ্বরদীতে নানা মহলের জোর দাবি উঠেছে।