নাহিদ পোরশা(নওগাঁ)প্রতিনিধি:
নওগাঁর পোরশায় ছড়িয়ে পড়ছে চোখ ওঠা রোগ স্বাস্থ্য বিধিও মানছেন না কেউ। রোগটি ছোঁয়াচে ফলে প্রতিদিন কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন। এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় অনেকে কালো চসমা পরে আবার অনেকে খালি চোখেই ঘুরাফেরা করছেন। এতে ওই রোগের সংক্রমন আরো বেড়ে যেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
একারনে এখনই সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন বলছেন স্থানীয়রা। বারিন্দা গ্রামের হুমায়ন কবির, কাঠপুকুরের শ্রীকান্ত পাহান, শিশা গ্রামের নুরনবী সহ অনেকেই জানান, তারা এবং তাদের পরিবারের অনেকে রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রথম অবস্থায় চোখ চুলকায় এবং পরবর্তীতে চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে ও পানি ঝরছে। এছাড়াও বাইরের আলোতে চোখ দিয়ে দেখা যাচ্ছে না।
চোখ দিয়ে পেচুটি বের হচ্ছে বলেও তারা জানান। তবে চোখ ওঠার ৪-৫ দিনের মধ্যে ভাল হয়ে যাচ্ছে বললেন তারা। তবে এ রোগে আক্রান্তের ফলে বড় ধরনের কোন সমস্যা না হলেও পূর্ব সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌফিক রেজা বলেন, এটি ভিষন ছোঁয়াচে রোগ। পরিবারের এক জনের হলে,
ওই পরিবারের অন্য সদস্যরা আক্রান্ত হতে পারেন গরম কালে এরোগের প্রকোপ বাড়ে বলে তিনি জানান। কনজাংটিভাইটিস বৈজ্ঞানিক নামের এরোগটি স্থানীয়ভাবে চোখ ওঠা নামে পরিচিত। অপরিস্কার ও নোংরা জীবন যাপন চোখ ওঠার অন্যতম কারণ। তিনি আরো জানান, এই রোগের ক্ষেত্রে অগ্রিম পদক্ষেপ নেয়ার কিছু নেই।
রোগিরা হাসপাতালে আসলে তারা চিকিৎসা প্রদান করছেন এবং করবেন বলেন। তবে রোগটি যেন অন্যদের মাঝে না ছড়ায়, আক্রান্ত ব্যক্তিকে সেদিকে সচেতন থাকতে হবে বলে তিনি জানান। এরোগে সাধারনত কোন রোগিকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়না। অবস্থা ভেদে আক্রান্ত রোগিকে তিনি অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার ও এন্টিহিস্টামিন সেবনের জন্য এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার কথা বলেন।