সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপ কমিটির সাথে মতবিনিময় করেছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ নজিবুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ডের হলরুমে বর্ণিল এই ‘শারদ সন্ধ্যা’র আয়োজন করা হয়।
এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল কর, সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ, সহ—সভাপতি রতন দাশ, কাউন্সিলর রাজ বিহারী দাশ, নাট্য ব্যক্তিত্ব স্বপন ভট্টাচার্য্য, সদর উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট বাপ্পি শর্মা, সাধারণ সম্পাদক বলরাম দাশ অনুপম, শহর পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন দাশ, সাধারণ সম্পাদক জনি ধর, রামু উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সদিব শর্মা, ঈদগাঁও উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিনাল আচার্য্য ও সাধারণ সম্পাদক জিকু দাশ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, মো. নজিবুল ইসলাম সনাতনী সম্প্রদায়েরই মানুষ। ছোট কাল থেকে তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের আপনজন। করোনাকালীন নিজের জীবন বাজি রেখে তিনি মানুষের জন্য কাজ করেছেন। যেকোন সংকটে তিনি অগ্রভাগে ছুটে চলেন। হিন্দুদের পূজা—পার্বনসহ সুখ—দুঃখের সারথি হয়ে তিনি সবসময় পাশে থাকেন। তাই তাঁর কোন বিকল্প নেই।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম বলেন, ব্রিটিশরা এদেশে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করে। পরে বঙ্গবন্ধু অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ভীত রচনা করেন। বর্তমানে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্ব মাঝে সম্প্রীতির রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। দুর্গাপূজা যদিও হিন্দু সমাজের ধর্মীয় উৎসব কিন্তু এটি ধীরে ধীরে পরিণত হয়েছে ধর্ম—বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালির উৎসবে। এর ধর্মীয় তাৎপর্যও সর্বজননীন। তাই অতীতের ন্যায় জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত আমি সনাতনী ধর্মাবলম্বী মানুষের পাশে থাকবো।
এসময় কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল ইসলাম, উখিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অজিত দাশ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি দীপংকর বড়–য়া পিন্টু, কক্সবাজার লোকনাথ সেবা আশ্রমের সভাপতি কাজল পাল, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সহ—সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু, সাংবাদিক দীপক শর্মা দিপু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কক্সবাজারের সভাপতি দোলন ধর, ডাঃ চন্দন দাশ, দীপ্তি শর্মাসহ বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা অন্তিক চক্রবর্তী।পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের মাধ্যমে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন শেষ হয়।