December 6, 2024, 4:47 am
শিরোনামঃ
ছাত্রদলের সভায় দাওয়াত পায়নি শিবির-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের ব্যাপক সংঘর্ষ, বাস চলাচল বন্ধ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রকাশ্যে বিরোধীতাকারী স্বৈরাচার সরকারের দোসর দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের চারসদস্যকে গ্রেফতার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ কারাগার থেকে পালানো ৭৭০ আসামি এখনও ধরা পড়েনি: কারা মহাপরিদর্শক জয়পুরহাটে টাকা দিয়েও সার পাচ্ছেন না কৃষক ত্রিপুরায় সহকারী হাইকমিশনে হামলা-ভাঙচুর, ছিঁড়ে ফেলা হলো বাংলাদেশি পতাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গঠিত অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট বহাল তবিয়তে আন্দোলনে আহতদের দেখতে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ডিএমপি কমিশনার সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ব্যাংকে দেয়া হয়েছে: গভর্নর
নোটিশঃ
আপনার আশেপাশের ঘটে যাওয়া খবর এবং আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য যোগাযোগ করুন মানবাধিকার খবরে।

প্রথম আইজিপি ও প্রথম স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুল খালেকের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ডিএমপি কমিশনারের শ্রদ্ধা

Reporter Name

প্রথম বাংলা – বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রসচিব আবদুল খালেকের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।

তিনি ২০১৩ সালের ১০ জুন মৃত্যুবরণ করেন।

আবদুল খালেক ১৯২৭ সালের ১ মার্চ কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জিরুইন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মান ডিগ্রি লাভের পর ১৯৫০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ পাস করেন। এরপর কিছুদিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করেন।

১৯৫১ সালে তিনি তৎকালীন সিভিল সার্ভিস অফ পাকিস্তান (সিএসপি) পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ ক্যাডারে যোগ দেন। তিনি তৎকালীন গোপালগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ মহকুমায় এসডিপিও এবং বরিশাল, পাবনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সারদায় পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মুজিবনগর সরকারের সময় থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম আইজিপি হিসেবে ২৩ এপ্রিল ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ১৯৭১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭৩ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পুলিশ একাডেমি সারদায় কর্মরত থাকাকালে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আবদুল খালেক। পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের কারণে সারদা প্রত্যাবর্তনে ব্যর্থ হয়ে তিনি পরিবারসহ ভারতে চলে যান। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত সব পুলিশ সদস্যকে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি চিঠি লেখেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি কলকাতায় সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় পাকিস্তানের সামরিক আদালত তার অনুপস্থিতিতে বিচার করে সাজা প্রদান করে।

তিনি স্ত্রী সেলিনা খালেক, ছেলে বি কে এস ইনান, মেয়ে সামিনা খালেকসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

প্রয়াত আবদুল খালেকের প্রকাশিত বইগুলো হলো পলিটিক্যাল ইকোনমি অব ফরেন এইড, ট্রান্সফার অব টেকনোলজি, শেখ মুজিব লিবারেশন ওয়ার, বাংলাদেশ এডুকেশন রিফর্মস।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০১৯ সালে “স্বাধীনতা পদক’’- এ ভূষিত হয়েছেন আবদুল খালেক।
সুত্র, DMP



Our Like Page