সবুজ হোসেন রাজা,সিরাজগঞ্জ,প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন যাবৎ ফলের ব্যবসার আড়ালে অবৈধভাবে কেরু এন্ড কোম্পানী র বিভিন্ন সাইজের মদ বিক্রি করেছেন দুলাল সাহা।প্রকা শ্যে যুবসমাজের কাছে মদ বিক্রি করলেও আইনশৃংখলা বাহিনী তার কিছুই করতে পারছিলেন না।আইন শৃংখলা বাহিনী যখনই তার দোকানে অভিযানে যেত ধুর্ত দুলাল সাহা তার ও স্ত্রী সহ আরও বেশ কয়েক জনের মদ খাও য়ার লাইসেন্স প্রদর্শন করতেন।
তবে এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি, গতকাল (১৬ সেপ্টেম্বর ) শনিবার রাত আনুমানিক ৮টায় পৌর শহরের বিসিক বাসস্ট্যান্ডে দুলাল সাহার ফলের দোকানে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন থানার উপ-পরিদর্শক মহা আলম, রেজাউল ও সহকারি উপ-পরিদর্শক সুমন, এসময় দুলাল সাহার প্যান্টের পকেটে ১ বোতল মদ পাওয়া যায়।
পরে তার দেয়া তথ্য অুনযায়ী পৌর শহরের দোলভিটায় দুলাল সাহার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আরও ২১ বোতল মদ জব্দ করা হয়। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শাহজা দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মৃধা।খাওয়ার অুনমোদন নিয়ে মদ বিক্রির অভিযোগ ও অনুমোদনের চেয়ে বেশী পরিমাণ মদ মজুদ রাখার দায়ে দুলাল সাহাকে ২২ বোতল মদ সহ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
অপরদিকে থানা পুলিশের পৃথক আরও দুটি অভিযানে ২ কেজি গাঁজা সহ ছালাম ব্যাপারী (৩৮) ও রওশন আলী (৫৫) নামের দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত ছালাম ব্যাপারী সরিষাকোল দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত সেকে ন্দার ব্যাপারীর ছেলে, তাকে পৌর শহরের সীমান্ত পার্টি সেন্টারের সামনে থেকে ১ কেজি ৫০ গ্রাম গাঁজা সহ গ্রে ফতার করে থানার উপ-পরিদর্শক গোপাল চন্দ্র।
অপরদিকে গ্রেফতারকৃত রওশন আলী মশিপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত রব্বানের ছেলে, তার বাড়িতে উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে একটি পুটলায় ১কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন।
এই বিষয়ে শাহজাদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, মাদক সহ গ্রেফতারকৃত ৩ জন আসামীর নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় আলাদা আলাদা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের আজ রোববার দুপুরে শাহজাদপুর আমলী আদালতের মাধ্যমে জেলহাজ তে পাঠানো হয়েছে।