ক্রাইম রিপোর্টার:
ফেনীতে সাইদুর রহমান সাঈদ সাহাবুদ্দিন শিহাব নামে দু, প্রতারক আদিবা ক্যাডেট ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে অভিনব প্রতারণা চালিয়ে আসছে। কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্রেইন ওয়াশ করে বিপদগামী করার দীক্ষা দিচ্ছে তারা। উগ্র মৌলবাদসহ সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিপদগামী করে তুলছে।
কোচিং সেন্টারের নামে চটকদার বিজ্ঞাপন, দৃষ্টি নন্দন সাইনবোড ও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কলেজ বিমুখ করে কোচিং সেন্টারে ভর্তি করার অভিনব ফাঁদ পেতেছে। শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে শহরের বিভিন্ন স্থানে আদিবা কোচিং সেন্টারের প্রচারণায় অনভিজ্ঞ শিক্ষকদের নামের পাশে শহরের নামকরা বিভিন্ন কলেজের পদবী ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
আদতে তারা যতটুকু নিজেকে প্রচার করে তার দ্বারে কাছেও নেই এসব শিক্ষক। এদের মধ্যে অনেকেই আবার শহরের কিছু কলেজে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে চাকুরী নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সাইন বোর্ড ব্যবহার করে কোচিং সেন্টার বাণিজ্য করতে মাঠে নেমে পড়ে। যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এধরনের কোচিং বাণিজ্য না করার জন্য বহুবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সরে জমিনে অনুসন্ধানে ফেনী শহরের ডাক্তার পাড়াস্থ আদিবা কোচিং সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, দুই রুমের একটি প্লাট ভাড়া নিয়ে নামকা ওয়াস্তে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে আসছে ভুয়া এ প্রতিষ্ঠান।
আমেনা বেগম নামে একজন মহিলা নিজেকে ওই কোচিং সেন্টারের শিক্ষক দাবী করেন। তিনি দাগনভূঁইয়া থেকে এসে এখানে কাজ করেন।
গতকাল বিকালে আদিবা কোচিং সেন্টারে গেলে সেখানে কোন শিক্ষার্থীকে পাওয়া যায়নি।
তবে আদিবা কোচিং সেন্টারে নাকি শর্টকাট পদ্ধতিতে ইংলিশ শেখানো হয়। এসব আচমকা বিজ্ঞাপন দেখে সচেতন মহল দারুণ উদ্বিগ্ন। অথচ এরা পূর্বক্তো কলেজের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে কোচিং বাণিজ্যে মেতেছেন;
ওইসব প্রতিষ্ঠানকে অবহিত না করেই বছরের পর পছর তারা কলেজের নাম বিক্রি করে আসছেন। এইধারা চালতে থাকলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এদের চটকদার বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্ত হয়ে কলেজে না গিয়ে কোচিং মুখি হয়ে প্রতারিত হচ্ছে।
ওইসব কোচিং সেন্টারের শিক্ষকরাও ছাত্রদের পাশ করিয়ে দেয়ার গ্যারান্টি দিয়ে অভিভাবকদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। আদিবা কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক শাহাবুদ্দিন শিহাব,অস্বীকার করে বলেন, এসব মিথ্যা কথা আমি আপনার সাথে পরে কথা বলবো। এখন আমি গ্রামের বাড়ীতে আছি।
সংশ্লিষ্টদের দাবী, শহরের উপর এসব অবৈধ কোচিং সেন্টার বছরের পর বছর সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে। এসব কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া সময়ের দাবী। আশাকরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবৈধ কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।