ফেনী প্রতিনিধি :-
এবার যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাঙ্গালীর মধ্য থেকে মানবিক ও জনপ্রিয় প্রার্থী জাহাঙ্গীর ফিরোজ,ব্রিটিশ-বাংলাদেশী কমি উনিটির এক প্রিয় মুখ।বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ও চৌক স এই মানুষটির শিক্ষা,রাজনীতি,সমাজসেবা,পর্যটন ও সাহিত্যাঙ্গনে অবাধ বিচরণ। একজন ব্যবসায়ী হিসেবেও সফল তিনি।
বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, নিউহ্যাম এর ভাই স-প্রেসিডেন্ট এবং ব্রিটিশ লেবার পার্টির একজন অন্যতম সদস্য।লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত এম পি টিউলিপ সিদ্দিক,রওশনারা আলী,রুপা হক ওআপসানা বেগম সহ লন্ডন মেয়র সাদেক খানের নির্বাচনী প্রচলনায় তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
জাহাঙ্গীর ফিরোজ,একজন রাজনৈতিক ও মুক্তিযোদ্ধা পরি বারের সন্তান,স্বভাবতঃ কারণেই রাজনীতি তাঁর অস্থি-মজ্জা য় ও ধমনীতে প্রবাহিত। তাঁর বাবা মরহুম ইঞ্জিনিয়ারসিদ্দিক আহমেদ একজন রাজনীতি সচেতন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ের কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতির দায়ি ত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলেন। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও ৭০ নির্বাচনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।
তাঁর চাচা আনোয়ার বাঙাল একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তাঁর ‘মা’ একজন শিক্ষানুরাগী ও দানশীল নারী ছিলেন। তাঁর মায়ের অন্যতম কৃতিত্ব হচ্ছে, তিনি তাঁর ৬ ছেলে ও ২ মেয়েকে সুশিক্ষিত করেছেন তাই সমাজে তিনি ‘রত্নগর্ভা’ হিসেবে খ্যাত।জাহাঙ্গীর ফিরোজ পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান তাঁর সব ভাই-বোনগুলো রাজনৈতিক,সামাজিক,সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সক্রিয় ও জনপ্রিয়।
জাহাঙ্গীর ফিরোজ এর একটি সুন্দর মানবিক মন রয়েছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তিনি সামাজিক ও মান বিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন। মানবতার সেবায় নিবেদিত তাঁর সংস্থা পিপল’স এইড ইন্টারন্যাশনাল ইউকে’র কার্যক্র ম অন্যতম। এই সংস্থা দেশে- বিদেশে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। স ম্প্রতি কলকাতা ও নেপালে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়া র বিতরণ করেন তিনি তাঁকে প্রতিবন্ধীর বন্ধু বলা হয়তিনি এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তাছাড়া, সামাজিক সংগঠন ফেনী সমিতি ইউকে’র সাধারণ সম্পাদক তিনি।
জাহাঙ্গীর ফিরোজ ছাত্র জীবনে একজন মেধাবী ছাত্র ছিলে স্কুল,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি তাঁর মেধার স্বাক্ষর রে খেছেন এবং সক্রিয় ছাত্র রাজনীতির শহীদ জড়িত ছিলেন স্কুল জীবনে অষ্টম শ্রেণীতে তিনি মেধাভিত্তিক সরকারী বৃত্তি অর্জন করেন। মঙ্গলকান্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়,
সোনাগাজী,ফেনী থেকে ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় তিনি অসাধারণ রেজাল্ট করেন এবং চার বিষয়ে লেটার মার্কসসহ সেন্টারের মধ্যে সর্বোচ্চ নাম্বার নিয়ে প্রথম বিভাগে পাস করেন।অতঃপর তিনি কৃতিত্বের সহিত ফেনী কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন। শিক্ষকতা দিয়ে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন মাত্র কয়েক বছর যাবত তিনি দত্তপাড়া কলেজ, লক্ষ্মীপুর এবং বিএএফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রামে শিক্ষকতা করেন।
ইতিপূর্বে, তিনি ১৯৮৪ সালে বিসিএস প্রশাসন চূড়ান্ত পরী ক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ রাজনৈতিক পরিস্থিতি র কারণে চাকুরীতে যোগদান করা সম্ভব হয়নি। অতঃপর ১৯৯০ সালের ২৫ শে আগস্ট বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরে শনে ডেপুটি ম্যানেজার পদে যোগদান করেন এবং কয়েক বছরের মধ্যেই ম্যানেজার হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চাকুরী তাঁর জীবনের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করে।সততা,নিষ্ঠা,মেধা-মনন,বিনয় ও কর্মদক্ষতা তাঁকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রিয় করে তোলে। পর্যটনের মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর দেশ ভ্রমণ এবং পর্যটন বিষয়ক উচ্চতর পড়ালেখা ও প্রশিক্ষণ।
১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এর মাধ্যমে জার্মান সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে তিনি প্রায় দুই বছর মেয়াদী হোটেল ও ট্যুরিজম ব্যবস্থাপনার উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য জার্মানীতে চলে যান।অতঃপর একাধিক বার জার্মানী,নেদারল্যান্ড,পোল্যান্ড,অস্ট্রিয়া,সুইজার ল্যান্ড যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশ ভ্রমণ করেন।একটানা ১২ বছর বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরে শনে ব্যবস্থাপক পদে চাকুরী করার পর ২০০২ সালে নিয়েন নিয়ে তিনি সপরিবারে লন্ডনে চলে আসেন।
লন্ডনে আসার পর তাঁর জীবনের নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত হয় তিনি একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি,নতুন উদ্যমে তিনি পড়া লেখা শুরু করেন। প্রথমতঃ যে কয়েকটি কলেজ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর পেশাগত সনদ অর্জন করেন, তাদের মধ্যে ব্রোকেনহাস্ট কলেজ( Brokenhurst College), ট্রিনিটি কলেজ লন্ডন(Trinity College London) ফামবরো কলেজ অফ টেকনোলজি( Farnborough College of Technology) এবং বেইজিংস্টক কলেজ অফ টেকনোলজি ( Basingstoke College of Technology) অন্যতম। অতঃপর তিনি ইউনিভার্সিটি অব ব্যাডফোডশায়ার (University of Bedfordshire) থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে অনার্স ডিগ্রি এবং এংলিয়ার রাস্কিন ইউনিভার্সিটি Anglia Ruskin University) থেকে মার্কেটিং অ্যান্ড ইনোভেশন এ মাস্টার ডিগ্রী অর্জন করেন।
তিনি একজন পর্যটন বিশেষজ্ঞপর্যটন শিল্পের প্রতি রয়েছে তাঁর অদম্য আগ্রহ,আবেগ,অনুভূতি ও গভীর ভালোবাসা। তাই তিনি ট্যুরিজম লিভ ইন্টারন্যাশনাল,ইউকে নামেএকটি প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের প্রচার ওপ্রসা রে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন আলোচনা সভা,সেমিনার, ওয়াক সপ, কালচারাল শো ও টকশো আয়োজন করে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন; যার ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচার হচ্ছে।
তিনি এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন
জাহাঙ্গীর ফিরোজ একজন প্রাক্তন রোটারিয়ান। পর্যটন মোটেল, সিলেটে কর্মরত অবস্থায় তিনি রোটারি ক্লাব অভ জালালাবাদ এর ডাইরেক্টর- ক্লাব সার্ভিস এবং পর্যটন মোটেল, বগুড়ায় কর্মরত অবস্থায় তিনি রোটারি ক্লাব অফ বগুড়া করতোয়ার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
পেশাগত দিক থেকে তিনি একটি ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে কোর্স ডাইরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন। তাঁর এয়ার বিএনবি এপার্টহোটেল বিজনেসও রয়েছে। তাঁর বড় ছেলে এই ব্যবসার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এবং তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পেশাগত জীবনের বাহিরে তিনি একজন কবি ও লেখক, ইতিমধ্যে তাঁর একাধিক যৌথ কবিতার বই বের হয়েছে। লেখক মোহাম্মদ হোসেন খন্দকার এর ‘স্মৃতি চির অম্লান’ বইটি সম্পাদনা করেন তিনি।
শীঘ্রই তার পেশাগত জীবনের বাহিরে তিনি একজন কবি ও লেখক। ইতিমধ্যে তাঁর একাধিক যৌথ কবিতার বই বের হয়েছে। সম্প্রতি তার লেখা একটি বই ‘The Magic of Leadership’ প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে এই বইটি একটি মাইল ফলক বইয়ের প্রচ্ছদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণের ছবি রয়েছে এবং বইটি বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা হয়েছে।অন্য আরেকটি বই ‘অবিস্মরণীয় স্মৃতিকথা’ শীঘ্রই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও তাঁর সরব ও প্রাণবন্ত বিচরণ রয়েছে। তিনি একজন আবৃত্তিকা। স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ, ঢা কা’র প্রধান উপদেষ্টা,সোনাগাজী উপজেলা সাহিত্য ফোরা ম, ফেনী’র উপদেষ্টা, লন্ডনে অবস্থিত বেঙ্গলি ইন্টারন্যাশ নাল এর প্রাক্তন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মেম্বার ও চেতনায় বাংলাদেশ এর সিঃ ভাইস- প্রেসিডেন্ট।
জাহাঙ্গীর ফিরোজ একজন অদম্য গতিশীল কর্মচঞ্চল মানুষমেধা, শ্রম ও অধ্যবসায় দিয়ে তিনি নিজের জীবনকে গড়ে তুলেছেন।তাঁর মধ্যে রয়েছে নেতৃত্বের গুণাবলী। ম্যানেজমেন্ট ও লিডারশিপ এর উপর তাঁর উচ্চতর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ রয়েছে। তিনি একজন দক্ষ সংগঠক,জাহাঙ্গী র ফিরোজ যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ফেনীর বাসীর গর্ব, সোনাগাজীর কৃতিসন্তান। তিনি ভদ্র,মার্জিত,রুচিশীল ও সুশিক্ষিত।
ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই ছেলের জনক,তাঁরা বড় ছেলে ফাহমিদ ফিরোজ যুক্তরাজ্যে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং ছোট ছেলে ফরহান ফিরোজ ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টমিনস্টার (University of Westminster) লন্ডন এ ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা দলের হাই কমান্ড মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে মনোনয়ন দিলে তিনি তাঁর অবশিষ্ট পুরো জীবন জনগণের সেবায় উৎসর্গ করবেন বলে মন্তব্য ও দৃঢ় প্রত্যয় করেছেন।