স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল: বরিশালে ধর্ষণ মামলায় আবুল বাশার নামের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার এক পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হয়েছেন। পচিশোর্ধ্ব তরুণীকে এই পুলিশ কর্মকর্তা শহরের গির্জামহল্লা রোডের একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেছেন। গত ১৩ অক্টোবরের ওই ঘটনায় তরুণী স্টিমারঘাট ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ আবুল বাশারের বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। সেই মামলায় থানা পুলিশ শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করে। সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম এই তথ্য মুঠোফোনে বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
অভিযোগ আছে, বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিহারীপুর এলাকার বাসিন্দা এসআই আবুল বাশার স্টিমারঘাট ফাঁড়িতে দায়িত্ব নেওয়ার পরে বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েন। বিশেষ করে কীর্তন খোলা নদীতীরবর্তী দ্বীপ জনপদ রসুলপুরের কতিপয় মাদক ব্যবসায়ীর সাথে সখ্যতা গড়ে তাদের কাছ থেকে মাসিক হারে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিতেন।
এমনকি তাদের পক্ষালম্বন করে কখনও কখনও স্থানীয় বাসিন্দাদের হয়রানিও করে আসছিলেন। এরই মধ্যে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো একটি গুরুতর অভিযোগ সামনে আসল এবং তিনি গ্রেপ্তার পরবর্তী কারাগারেও গেলেন। অবশ্য বিতর্কিত এই পুলিশ কর্মকর্তা এর আগে মেট্রো পলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে কর্মরত থাকা কালীন এক সাংবাদিককে নির্যাতনের ঘটনায় বরখাস্ত হয়েছিলেন।
এছারাও অভিযোগ রয়েছে বাকেরগঞ্জ নিজ এলাকায় এস আই দাপটে নানান রকম কুকর্মে জড়িত রয়েছে।পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বরিশাল মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানাধীন কাশিপুরের ইছাকাঠি পল্লীর বাসিন্দা তরুণীর সাথে গত ৫ অক্টোবর এসআই আবুল বাশারের পরিচয় হয় এবং ওই দিন তারা একে অপরের মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান করেন।
পরে ১৩ অক্টোবর অন্য একটি মামলার বিষয়ে আলাপ করতে তরুণী পুলিশ কর্মকর্তা আবুল বাশারকে ফোন করেন। ওই দিন বিকালে পুলিশ কর্মকর্তার কথা মতো শহরে এসে তরুণী তার সাথে সাক্ষাৎ করেন। এরপর একান্তে আলাপের পরামর্শ দিয়ে তরুণীকে শহরের গির্জা মহল্লা এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান পুলিশ কর্মকর্তা। সেখানে ২০৪ নম্বর কক্ষে রেখে তরুণীকে এই এসআই ধর্ষণ করেন সেই ঘটনায় তরুণী শুক্রবার রাতে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম জানান, তরুণীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা গ্রহণ শেষে এসআই আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে আদালতে পাঠালে বিচার কারাগারে প্রেরণ আদেশ দেন।