ভারতের কাছ থেকে ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমা জয়:
নিজস্ব প্রতিবেদক – মূলত, বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির আলোচনা শুরু হয় ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর সময়ে। কিন্তু এরপর প্রায় আড়াই দশক এবিষয়ে আর কোনো উদ্যোগ নেয়নি বিএনপি-জামায়াত।
পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর জলসীমায় ন্যায্য হিস্যা আদায়ের প্রচেষ্টা শুরু করে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না হওয়ায় বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সালিশি আদালতে যায় বাংলাদেশ।
এরপর দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ায় লড়ে ২০১৪ সালে এসে, ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমার ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে বাংলাদেশ ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার জলসীমা জয় করতে সমর্থ হয়।
এর ফলে সাগরের অধিকাংশ গ্যাস ব্লকগুলোতে এখন বাংলাদেশের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।ভারতের দাবিকৃত ১০টি গ্যাসব্লকের সবগুলোই পেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে সমুদ্রের সম্পদের ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অর্থনীতির নতুন দুয়ার খুলে গেছে।
এর আগে আওয়ামী সরকারের উদ্যোগেই ২০১২ সালে মিয়ানমারের সাথেও সমুদ্রসীমার বিরোধ নিস্পত্তি করে বিশাল জলাধারের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করে বাংলাদেশ। ওই অঞ্চলের সমুদ্রে অবস্থিত ২৮টি ব্লকের মধ্যে ১৮টি ব্লকের মালিকানাও পায় বাংলাদেশ।
বঙ্গোপসাগরে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে চলা সমুদ্রসীমা নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে বিরোধের অবসান ঘটায় বাংলাদেশ লাভ করেছে একটি স্থায়ী সমুদ্রসীমা, যার আয়তন ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কি.মি।
অথচ এর আগে, বাংলাদেশ ৫০ হাজার বর্গ কিলো মিটার সমুদ্রসীমাও ভোগ করতে পারতো না। কিন্তু জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া, বিএনপি-জামায়াত জোট কোনো সরকারই দেশের ন্যায্য পাওনা বুঝে পেতে চেষ্টা করেনি।
ভারতের কাছ থেকে আওয়ামী লীগ সরকারই ন্যায্য হিস্যা আদায় করে নিয়ে এসেছে জাতির জন্য। একমাত্র আওয়ামী সরকারই এটা পেরেছে , অন্য কেউ পারেনি। এটাই বাস্তবতা। প্রথমত, আলোচনার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করতে সমর্থ হয়েছে সরকার।
কিন্তু তা না হলে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করেও ভারতের কাছ থেকে হিস্যা আদায় করেছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার। বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগই এটা পারে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাই এটি করে দেখিয়েছেন।
আগামীর দিনগুলিতেও শেখ হাসিনার হাত ধরেই ভারতের সাথে সমমর্যাদার রাষ্ট্র হিসেবেই অধিষ্ঠিত থাকবে বাংলাদেশ।
#আওয়ামীলীগ #বাংলাদেশ #ভারত #বাংলাদেশভারতসম্পর্ক