(এযেনো গরীবের খাবার রাক্ষসের পেটে)
নিজস্ব প্রতিবেদক :- বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং নিয়ামতি ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বাকেরগঞ্জে নিয়ামতি ইউনিয়ন রামনগর বাজারের ডিলার মোঃ নাসির আকন ও মধ্যম মহেশপুর বাজারের ডিলার মোঃ ফরিদ খান এর বিরুদ্ধে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি মূল্যের চাল বিতরণের অনিয়মের অভিযোগ করেন উপকার ভোগীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ডিলার নাসির আকন ও ফরিদ খান ২৭ থেকে ২৮ কেজি চাল দিচ্ছেন উপকারভোগীদের চাল কম দেওয়ায় তাদের উপর বিক্ষুব্ধ হয়েদুই ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন উপকারভোগীরা।পরে ডিলারের অনিয়মের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক জন ব্যক্তি প্রতিবাদ করলে ডিলার নাসির প্রতিবাদকারীদের ধাক্কা দিয়ে স্থান ত্যাগ করার হুমকি দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সাংবাদকর্মীরা গিয়ে সত্যতা দেখতে পান।
পরে তারা বিতরন করা চাল মিটারে ওজন দিয়ে দেখতে পান ৩০ কেজি চালের পরিবর্তে ২৭/২৮ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে।চাল নেওয়া অধিকাংশ ব্যক্তি ওজনে চাল কম পেয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
তবে ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, চাল বিতরনের সময় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকা (ট্যাগ অফিসার) সাইদুর রহমান এর উপস্থিতিতেই আমাদের চাল কম দিয়েছে ডিলার। আমরা প্রতিবাদ করলেও দায়িত্বে থাকা অফিসার তিনি ডিলারের অনিয়মের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেননি। এবিষয়ে মহেশপুর বাজারের ভেনুতে দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ট্যাগ অফিসার সাইদুর রহমান বলেন, আমার উপস্থিতিতে কাউকে চাল কম দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে রামনগর বাজারের ভেনুতেডিলার নাসির আকন এর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ পাওয়া গেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গরীব অসহায় ব্যক্তিদের জন্য সরকার কতৃক ১৫ টাকা কেজি চাল বিতরনের কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। তবে কিছু প্রভাবশালী ডিলারের অনিয়মের কারনে সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
তারা আরো বলেন, ৪৫০ টাকায় ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু ৩০ কেজি চালের পরির্বতে আমরা ২৭/২৮ কেজি চাল পাচ্ছি। তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে মারধর অথবা লাঞ্চিত হতে হচ্ছে। তাই অনেক গরীব অসহায় ব্যক্তি তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করেই ২৭ কেজি চাল নিয়েই চুপ করে থাকেন।এযেন গরিবের খাবার রাক্ষসের পেটে।
তবে অসহায় মানুষ গুলো পাশে নেই চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা।
ভুক্তভোগী আঃ বারেক ও আলি আহম্মেদ সহ স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তাদের ২৬-২৭ কেজি করে চাল দেন। অথচ ৩০ কেজির দাম রাখেন। প্রতিবাদ করলেও কোন উপকার হয়না। উল্টো তাদের হাতে লাঞ্চিত হতে হচ্ছে।চাল বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিলার নাসির আকন বলেন, আমি এভাবে ২৭/২৮ কেজি করেই দিচ্ছি আপনি যা খুসি করতে পারেন।
এবিষয়ে দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার হুমায়ুন কবির জানান আমি এসএসসি পরীক্ষার ডিউটি তে ছিলাম চাল দেয়ার নিয়ম ৩০ কেজি। তবে বিভিন্ন ব্যয়ের কারণে মনে হয় একটু কম দেওয়া হচ্ছে। আমি ডিলারের সাথে কথা বলে দেখছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল বলেন, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখতেছি। যদি ডিলাল ও দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার কোন অনিয়ম পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।