নজরুল ইসলাম আলীম //
এক সময় এদেশে নেশা হিসাবে সেবন করতো গাঁজা এ গাঁজা তখনকার সময় রিক্সা চালকরা বেশি খেতো এবং যুবকরাও পিছিয়ে ছিল না। এর পর আসলো ভারতীয় ফেনসিডিল। যদিও ভারতে এ ফেনসিডিল কাশিঁর ওষুধ হিসাবে খাওয়া হচ্ছে। আর সেই ফেনসিডিল এ দেশে নেশা হিসাবে খাওয়া হচ্ছে। আগে যারা গাঁজার ব্যবসা করতো পরবর্তীতে তারা ফেনসিডিলের ব্যবসা শুরু করে। ফেনসিডিল খাওয়া যখন সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে তখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান শুরু হলে ফেনসিডিল বিক্রেতারা কৌশলে নিরব হয়ে পড়ে। যদিও তখনকার সময় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হতো বস্তায় বস্তায়।
কিন্তু সেবন করার সংখ্যা কমেনি ফেনসিডিল বন্ধের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান শুরু হলে ফেসিডিলের পরিবর্তে নতুন নামে শুরু হলো ‘ইয়াবা’ইয়াবা দেখতে টেবলয়েটের মতো। যা চোখে দৃশ্য মান ফেনসিডিল সেবনকারীরা এখন সেবন করা শুরু করেন ইয়াবা। এ ইয়াবা বর্তমানে স্কুল কলেজ,মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ব্যবসায়ী, ব্যবসায়ীর সন্তান ও মেয়েরা এ মরণ নেশায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। যা এমন অবস্থায় দাড়িঁয়েছে উপজেলার প্রতিটি ঘরে ঘরে এর বিস্তার ঢুকে গেছে। এ সর্বনাশা ইয়াবা খেয়ে প্রতিটি সংসারের মধ্যে জলছে তুসের আগুন।বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রত্যন্ত অঞ্চলে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই প্রতিটি পাড়া মহল্লার অলিতে, গলিতে উঠতি বয়সি যুবকদের আনা গনা লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিনিয়ত তাদের মাঝে ইয়াবার আগুন তাড়া করে বেড়া চ্ছে বর্তমানে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ছাত্র,যুবক,রাজনীতি ক কর্মী এবং ব্যবসায়িসহ এক শ্রেণীর যুবক-যুবতীরা নিয় ন্ত্রণহীন ভাবে ইয়াবার জ্বরে লিপ্ত হচ্ছে।গোপন তথ্য থেকে জানা যায়, এসব উঠতি বয়সের ছাত্র, যুবক, রাজনীতিক কর্মী ও নেতা এবং ব্যবসায়িসহ যুবতি,তরুণ-তরুনীরা মরণ নেশা ইয়াবা পেয়ে থাকে পাড়া- মহল্লার বড় ভাইদের কাছ থেকে। এখন প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে যুব সমাজের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে মরণ আগুন ইয়াবা।এই মরণ নেশার টাকা জোগাতে যুবকরা লিপ্ত হচ্ছে বিভিন্ন অপরাধের সাথে।
অতি সহজলভ্য এ মাদক সেবনের অর্থ যোগাতে তারা যে কোন অপরাধ করতে দ্বিধাবোধ করেনা। যে কারণে মরণ আগুনে ঝাপিয়ে পড়ছে যুবকরা। অভিভবকরা তাদেরকে শত বাধ্যবাধকতার মধ্যে রেখেও ফেরাতে পারেনি মরণ নেশা ইয়াবা নামক ভাইরাস থেকে।মহামারি এই ভাইরাস ঠেকাতে সচেতন লোকজন র্যাব-৮ এর অধিনায়ক ও জেলা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করছেন। যাতে করে যুব সমাজ ইয়াবার আগুন থেকে রেহাই পায়বর্তমানে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ইয়াবা সেবনে অভ্যস্থ হয়ে পড়ছে। প্রতিনিয়ত এ মহামারি প্রকট আকার ধারন করছে এক শ্রেণীর নব্য পাতি নেতারা এসব নেশা দ্রব্য সেবন ও বিক্রির নেপথ্যে সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছে
এছাড়াও ইয়াবা চালানে রিক্সাওয়ালা,অটোবাইক,সাংবাদি ক স্টিকার লাগানো মটোর সাইকেল,সিএনজি চালক, বিভি ন্ন পাড়া মহল্লার ছোট দোকানিদের মাধ্যমে ইয়াবার কার্যক লাপ চলছে। বিভিন্ন মহলের সাথে যোগাযো গ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম সিন্ডিকেট চক্র অত্যন্ত শক্তিশালী ও প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। যে সকল স্থানে প্রতিনিয়তই ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে এসব স্থানে দিনের বেলায় ইয়াবা সেবিদের আনাগোনা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকেই দেখা যায় যুবদেরআনাগোনা ইয়াবা সেবন করার জন্য যে কোন উপায়ে এটি পাওয়ার জন্য ইয়াবা সেবিরা পাগল হয়ে উঠে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা ও পৌর এলাকার প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মাদক পাওয়া যায়। কম সংখ্যক পরিবারে সদস্য আছে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা পেতে এর মধ্যে উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্য এবং নিন্ম পরিবারে সদস্যরা এ মাদকের সাথে জড়িত। যারা মরণ নেশা ইয়াবা সহ মদক ব্যবসা করছে তারা থেকে যাচ্ছে অন্তরালে।তাদে রকে চিন্নিত করা হলে মাদকের প্রসার নির্মূল করা যাবে।বাকেরগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভার মধ্যে,পৌর মার্কেট, পৌর বাসস্টান,রুনসী,সাহেবগঞ্জ খেয়াঘাট,পুরাতন থানার লঞ্জঘাট,বোয়ালিয়া বাজার,আউলিয়াপুর,ভরপাশার,ভবানী পুর বাজার,লক্ষীপাশা, সিনেমাহল,কালীগঞ্জ বাজারের উত্ত র মাথা থেকে শুরু করে দক্ষিণ মাতা পর্যন্ত, কষ্ণাকাঠির সমিতিঘর বাজার,পাদ্রীশিবপুর নিউমার্কেটের উত্তর মাথা, পাদ্রীশিবপুর খ্রিস্টান পল্লীর ঝাউতলা নামক সড়ক স্থানে, মোহাম্মদিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা,
কানকী বাজার,গাজিরহাট,পারশীবপুর বিসমিল্লাহ বাজার, কাঠালতলী,জনতা বাজার,বাসবুনিয়া বড়রঘুনাথপুর সংলগ চেয়ারম্যানের হাট,বাংলা বাজার,নিয়ামতি,মহেশপুর,গাবুয়া ,রুপারঝোড়,ঢালমারা সহ ইত্যাদি এলাকায় বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে ইয়াবার রমরমা বনিজ্য করিয়া আসতেছে।ক্রেতা- বিক্রেতারা সুকৌশলে এসব মাদক আনা নেয়া করে থাকে।
এ ছাড়াও অনেকে নিজ বাসা বাড়ীতে বসে বসে মাদক বিক্রি করে থাকে বলেও অভিযোগ রয়েছে।তাছাড়াও বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে মাসিক মাসওয়ারা পাওয়ার।কিন্তুু এসব অভিযোগই বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ অস্বীকার করে বলেন আমাদের মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ চলছে তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো জনগনের সহযোগীতা ছাড়া আমাদের পক্ষে চিরতরের জন্য মাদক নির্মল করা সম্ভব নয় বলে জানান।