নিজস্ব প্রতিবেদক :-বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়কের জায়গা দখল করে সড়কের মধ্যে দুইপাশ দখল করে অবৈধ দোকানপাট বসিয়ে চড়া দামে ভাড়া দিয়ে আসছে স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে গেলেই দেখা যাবে দখলদারিত্বের চিত্র।
কলেজের মূল গেট সহ প্রবেশপথ দখল করে বাস কাউন্টার, গ্রেস সহ শত শত দোকানপাট গড়ে উঠেছে। এমনকি দখলদারেরা কলেজের প্রাচীর দখল করে নিয়েছে। সরকারি কলেজের সামনে চা সিগারেট এর দোকান গুলোতে বাস স্ট্যান্ড মুখি মানুষের আনাগোনায় জটলার সৃষ্টি হয়।
কলেজে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অনেক শিক্ষার্থীরাই হাতের নাগালে পাচ্ছে সিগারেট জড়িয়ে পড়ছে ধূমপানের সাথে। ওই সকল অবৈধ দোকানদারেরা তাদের ময়লা আবর্জনা বর্জ্য কলেজের মাঠে ফেলে আসছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ বারবার উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিলেও এসব অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন দখলদারিত্ব বেড়েই চলছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অবৈধ স্থাপনা গুলো গড়ে উঠেছে এখানে আড়ালে অবৈধ টাকা লেনদেন হচ্ছে।
ফলে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বরিশাল -পটুয়াখালী মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা ও দোকান সরাতে পারছে না। অপরদিতে বাকেরগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড না থাকায় ঐ সড়কের উপরেই জেলা আন্তঃজেলা যানবাহনে যাত্রীদের সড়কের উপরে দারিয়েই উঠা নামা করতে হয়। পৌর কর্তৃপক্ষ জনসাধারণের সুবিধার কথা চিন্তা করে বাস স্ট্যান্ড নির্মাণ করলেও ঐ স্ট্যান্ড রয়েছে নামে মাত্র।
বাস স্ট্যান্ডের যাত্রী ছাউনী, পাবলিক টয়লেট সহ বাস কাউন্টার গুলো ভিআইপি হোটেল রেস্তোরা দোকানপাট। এ সকল অবৈধ স্থাপনা গুলো থেকে মাসে ৫ লক্ষ টাকার উপর ভাড়া ও চাঁদা নিচ্ছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেট এর সাথে জড়িত রয়েছে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতারাও। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরে যানবাহনের চাপ বাড়লেও সড়ক প্রশস্ত করা হয়নি।