সানজিম মিয়া – রংপুর প্রতিনিধি
গঙ্গাচড়ার নোহালী ইউনিয়নের বাসিন্দা নিজ বসতবাড়ির পতিত জমিতে সবজি চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন উদ্যোক্তা দুলাল মিয়া।
করোনাকালীন সময়ে বসত বাড়ির উঠানে পতিত ও অনাবাদি জমিতে মাটি ফেলে জায়গা ভরাট করে সবজি চাষ শুরু করেন। পরবর্তীতে গঙ্গাচড়া উপ জেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আক্তারু জ্জামান রণীর সার্বিক সহযোগিতায় বড় পরিসরে চাষ শুরু করেন। নিজের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশি ও আত্মীয় স্বজনদেরকেও প্রায় প্রতিদিন সবজি দিয়ে থাকেন। প্রায় ১৫ প্রকারের সবজি আছে তার বাগানে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুলাল মিয়া বিষমুক্ত সবজি বাগান গড়ে তুলেছেন। সবুজে ঘেরা সবজি খেত উঠান বাগানে তার সবজি খেতে শুধুই যে সবজি রয়েছে তা নয়। সবজির পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফল,ফুল,মশলা ও ঔষধি জাতীয় ফসল।সবজি গাছের মধ্যে রয়েছে,পেঁপে,লাল শাক,পুই শাক,বেগুন,পালং শাক,ঢেরশ,লাউ। মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে,ধনিয়া,মরিচ,হলুদ।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফলের মধ্যে রয়েছে আম, জাম,পেয়ারা,আনারস লেবুসহ কয়েকটি ফলের গাছ। তাছাড়া ঔষধি গাছ পুঁদিনা পাতা,অ্যালো ভেরা,তুলসী গাছও রয়েছে।বাড়ির উঠানে সবজি চাষি দুলাল মিয়া বলেন,আমার ছোটবেলা থেকেই সবজি চাষের প্রতি আগ্রহ বেশি। আমি তখন থেকেই বাড়িরে পাশে বিভিন্ন ধরনের ফল,ফুলের গাছ লাগাতাম। স্বপ্ন ছিল বড় ধরনের একজন উদ্যোক্তা হব তারই ধারাবাহিকতায় এই সবজি বাগান প্রায় ১৮ শতাংশ জমিতে প্রাথমিকভাবে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান রণী ভাইয়ের পরামর্শে স্বল্প পরিমাণে শুরু করি যার সফলতা স্বরুপ আমার আর্থিক ও সংসারিক চাহিদার জোগান দিচ্ছে এই সবজি বাগান। জমিতে সার,বীজ বপন,পানি সেচ দেয়া থেকে শুরু করে ফসল রক্ষণাবেক্ষণের সমস্ত কাজ আমি নিজেই করে থাকি।
সবচেয়ে বড় বিষয় নিজের ক্ষেতে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে নিজের পরিবারকে খাওয়াতে পারছি। কারণ বর্তমান বাজারের প্রতিটি সবজিতেই দেয়া থাকে মাত্রারিক্ত সার ও কীটনাশক, যা মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর।তার প্রতিবেশি হাঙ্গার প্রজেক্টের ইউনিয়ন সমন্বয়কারী চন্দ্র শেখর রায় বলেন,বাড়ির উঠানে অনাবাদি ও পতিত জমিতে সবজি চাষ দেখে আরও অনেকে উৎসাহিত হচ্ছে। তারাও কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তায় বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ করবে।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্ম কর্তা আক্তারুজ্জামান রণী বলেন,কৃষি সম্প্র সারণ অধিদপ্তরের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসি নার উদ্যোগে পতিত ও অনাবাদি এক ইঞ্চি জমিও বাদ থাকবে না। কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহয় তায় দেওয়া হয়েছে তাকে দুলাল মিয়া একজন উদ্যোগী ও পরিশ্রমী মানুষ। তিনি স্বল্প শিক্ষিত হয়েও পরিশ্রম করে সবজি উৎপাদন করে ইতিমধ্যে আলো ড়ন সৃষ্টি করেছেন। আমি আশাকরি ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু করবেন। ভবিষ্যতে তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবে কৃষি অধিদপ্তর।