মোঃ তানভীর, সোনারগাঁও প্রতিনিধি ঃ-
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের লক্ষীপূজা, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, ধন-সম্পদ-ঐশ্বর্যের দেবী হলেন লক্ষী।বারদীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রায় সব বাড়িতে লক্ষীপূজা অনুষ্টিত হয়েছে। যার যার সাধ্য মতো সবাই পূজা-অর্চনা করেছেন গৃহবধুরা চালের গুড়া দিয়ে আলপনা করেছেন ঘরে। লক্ষী পূজার খুশিতে ছোট বড় সবাই পটকা ফুটিয়েছেন।
নানা রকমের প্রসাদেরও আয়োজন করা হয়েছে ঘরে ঘরে।শ্রী শ্রী লক্ষী হলেন শ্রী সমৃদ্ধি, বিকাশ ও অভ্যুদয়ের প্রতীক। তিনি ঈশ্বরের পালন রূপ শক্তি নারায়ণি (নারায়ণ অর্থ সর্বজীবের আশ্রয়), যাকে সাধারণত ধন-সম্পদের অধিষ্ঠাত্রী অন্নদাত্রী দেবীরূপে পূজা করা হয়। তবে এই ধন শুধুই পার্থিব ধন নয়, চরিত্র ধনেরও প্রতীক।
সর্বাত্মক বিকাশেরও প্রতীক শাস্ত্রমতে, লক্ষীপূজা পূর্ণিমা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে হয়ে থাকে। তাই গতকাল সকাল থেকেই গৃহস্থের বাড়িতে বাড়িতে চলছে লক্ষী আরাধনার তোড়জোড়। শাঁখ বাজিয়ে, সুগন্ধি ধূপ দিয়ে শুরু হয় লক্ষীপূজা।ধনী গরিব নির্বিশেষে যে যেভাবেই পূজা করেন না কেন, সবার মনে প্রার্থনা একটাই- আগামি ১ বছর যেন মা লক্ষী পরিবারের একজন হয়েই ঘরে বিরাজ করেন।মা দুর্গার বিসর্জনের পর ফাঁকা বারোয়ারী মন্ডপ গুলোতে খুশির রেশ ধরে রাখেন লক্ষী দেবী।তাই গতকাল রাতে সোনারগাঁও উপজেলার বারদী কল্যাণ ফাউন্ডেশন(শিব শংকর সংঘ)) এর উদ্যোগে এই পূজা উদযাপিত হয়।
সে সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বারদী কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর নারায়ন চন্দ্র দাস,সহ-সভাপতি শ্রী সুদেরশন বনিক, সাধারণ সম্পাদক সানি বনিক,ডাঃ উত্তম কুমার বনিক টিপু, যুগ্ম সম্পাদক টিটু বনিক,উজ্জ্বল চন্দ্র দাস, ছোট নারায়ণ, মানিক, শ্রী প্রিতম,মাদব কুমার দে,কমল চন্দ্র,হরেকৃষ্ণ বর্মন সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।