মো: সবুজ হোসেন রাজা,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর প্রার্থী মো: রেজাউর রশিদ খান, আজ ৪ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার সকালে শাহজাদপুর উপজেলা চত্বরে জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা ও লিফলেট বিতরণ করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট মতিউর রহমান, দলের সদস্য আব্দুল আল মাহমুদ, ক্যালিগো লিমিটেডের ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
ভোট প্রার্থনা শেষে মোহাম্মদ রেজাউর রশিদ খান বলেন, সকলে অবশ্যই ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং যার যার পছন্দ অনুযায়ী ভোট দিবেন।একজন প্রার্থী হিসেবে আমিও আপনাদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছি আপনার মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সংবিধানের ধারা অব্যাহত রাখতে ভূমিকা রাখুন।
উল্লেখ্য, তিনি ১৯৬৭-১৯৭০ ঢাকা শহর বয়স্কাউটের প্রথম লিডার নিযুক্ত হন। ১৯৭০ সালের জুন মাসে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রলংকারী ৪৫ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ৮-১০ লক্ষ্য জীবনের সলিল সমাধি ঘটে এবং কয়েকটি জেলা উক্ত জ্বলোচ্ছাসে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। উক্ত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত অঞ্চলে আমার বয়েসস্কাউট টিম নিয়ে উদ্ধার কার্যে অংশগ্রহণ করেন।
স্কুলছাত্র থাকা অবসস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ ছাত্র নেতৃবৃন্দ ও বর্তমানে জাতীয় নেতৃবৃন্দ (১৯৬৯), পাক শাসকের বিরুদ্ধে ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে “সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়”ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের শোসন লুটপাটের প্রতিবাদে মিছিল বের করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস.এম. হল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝখানে পলাশি রেল গেট থেকে উক্ত মিছি- লটি সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হয়। দোয়েল চত্তরের সামনে যাওয়ার সাথে সাথে পাকবাহিনী গুলি ও কাঁদানো গ্যাস নিক্ষেপ করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে। অনেক ছাত্র নেতাদের গ্রেফতার করে ও আহত হয়। উক্ত রাজনৈতিক মিছিলে আমিও ছিলাম এবং মিছিলে অংশ গ্রহণ করে টিয়ার গ্যাসে আহত হন।
১৭৭৫-১৯৮৩ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেন। যথাক্রমে সভাপতি সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন দায়িত্ব, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রিয় কমিটির অর্থ সম্পাদক ও দ্বিতীয় বার ১নং সদস্য নির্বাচিত হন।এ সময়ে দল ও জোটের নি র্দেশে সকল প্রকার আন্দোলনসহ,সংগ্রামে অংশ গ্রহন করি। জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল থেকে গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন।
ছাত্র রাজনীতি সমাপ্ত করে দলীয় রাজনীতিতে বাংলা দেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। এরপর বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি দপ্তর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। ২০০ ৪ খ্রিষ্টাব্দে বাসদ-এর ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে বাসদ কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের বৈঠকে (পার্টির সর্বচ্চো নীতিনির্ধারণী ফোরাম) বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ BSD এর আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বেশীর ভাগ সময় জোটবদ্ধ থেকে আন্দোলন সংগ্রাম ও পার্টি পরিচালনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় ঢাকায় শাহজাদপুর ছাত্র কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (১৯৮০-৮৪)। ঢাকাস্থ সিরাজগঞ্জ জেলা সমিতি গঠনের অন্যতম উদ্যোগতা ও আজীবন সদস্য।
তিনি যমুনা নদীর ভাঙ্গন রক্ষা বেরিবাধ “পাঁচিল-রতন বান্দি” প্রতিষ্ঠায় অন্যতম উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বাংলা দেশে সর্বপ্রথম পল্লী বিদ্যুতায়ন (আর ই বি) শাহাজাদ পুরে প্রতিষ্ঠাতার অন্যতম একজন উদ্যোক্তা। তিনি বেকার শিক্ষার্থীদের চাকরি,উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, গরিব দুঃখি-রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা ও সহ যোগীতা প্রদানের ব্যবস্থা করেন এবং আজীবন সেবক হিসেবে জনগণের কাজে আত্মনিয়োগ করে যেতে চান।