প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, দীর্ঘ সময় ধরে মামলা বিচারাধীন থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা এতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে যশোরের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের সাথে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি দুই দশক এবং তারও বেশি আগের বিচারাধী ন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।সকাল সাড়ে আটটায় প্রধান বিচারপতি যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পৌঁছান। এসময় লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।এরপর তিনি যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জর’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে দোয়া অনুষ্ঠি ত হয় এরপর আদালত প্রাঙ্গনে একটি জলপাইগাছের চারা রোপণ করেন।
সকাল ৯ ঘটিকায় জেলা জজ আদালত সম্মেলন কক্ষে জেলার সকল বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি দিক নির্দেশনামূলক কথা বলেন। এসময় বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে তাকে ক্রেস্ট প্রদান করেন জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম।সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকায় যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির ১নং ভবনে আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় করেন একই সাথে তিনি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক আবু মোর্তজা ছোট ক্রেস্ট প্রদান করেন। এছাড়া পিপি ইদ্রিস আলী তাকে খেজুর গাছ সম্বলিত একটি উপ হার প্রদান করেন।এসময় তিনি আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। ১১ টা ১০ মিনিটে কুষ্টিয়া র উদ্দেশ্যে যশোর ত্যাগ করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্পেশাল জজ মোহাম্মদ সামছুল হক,নারী ও শিশু নির্যাদন দমন-১ এর বিচারক গোলাম কবির,নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু ন্যাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ মাইনুল হক,চীফ জুডিসি য়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর,অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জয়ন্তিরানী দাস,সোহানী পুষন,তাজুল ইসলাম, বেগম সুরাইয়া সাহাব,সুমি আহম্মেদ,শিমুল কুমার বিশ্বাস, জুয়েল অধিকারী,সুপ্রিম কোর্টের আপ্রিল বিভাগের রেজি স্টার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান,প্রধান বিচার পতির পিএস আরিফুল ইসলাম, মারুফ আহেম্মদ।