“বুদ্ধের ত্রিস্মৃতিময় বৈশাখী পূর্ণিমা”
– এম কে বড়ুয়া।
বৈশাখী পূর্ণিমা তিথি অতি শুভক্ষণে
অশান্ত পৃথিবী শান্ত করিতে ধরাধামে
আবির্ভূত হয়েছেন মহামানব গৌতম বুদ্ধ,
প্রথম শুনিয়েছেন তিনি অহিংসার বাণী।
মহামানব ভগবান গৌতম বুদ্ধের চরন স্পর্শে
শান্তির ললিত বাণী জেগে উঠেছিল বসুন্ধরায়
পুলকিত হল দেব,নর, বনের পশু-পক্ষী
ত্রিশরণ ধ্বনিতে মুখরিত ছিল জগৎময়,
বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি
ধম্মং শরণং গচ্ছামি
সংঘং শরণং গচ্ছামি কপিলা বস্তু লুম্বিনী কাননে মায়া দেবীজঠরে জম্মগ্রহণ করেন সিদ্ধার্থ গৌতম
ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সাত পা হেঁটে যান,
সাত পায়ে সাতটি পদ্মফুল ফোঁটে মাটিতে
গৌতম বলেন, ‘আমি অগ্র,আমি শ্রেষ্ঠ,
এই আমার শেষ জন্ম।
আনন্দে আত্মহারা পিতা রাজা শুদ্ধোধন
মহামানব গৌতম বুদ্ধের জন্মে আলোকিত
হয় বিশ্ব ধরণী তথা প্রাণী জগৎ
গৌতম বুদ্ধ বুদ্ধগয়ায় করেন বুদ্ধত্ব লাভ
কুশিনগরে লাভ করেন মহাপরিনির্বাণ
বৈশাখী পূর্ণিমা তিথি ত্রিস্মৃতি বিজড়িত
বৌদ্ধদের অতীব পবিত্র দিন
জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দিনটি করে উপভোগ,
পবিত্র এই দিনে বিহারে বিহারে কুশল কর্ম
করিবে মর্মে বুদ্ধ বন্দনায় প্রার্থনায় থাকে মন,
মহামানব গৌতম বুদ্ধ মানব মুক্তির তরে বোধি
বৃক্ষ তলে বুদ্ধত্ব লাভ করেন জগতের কল্যাণে,
বুদ্ধের বাণী জগতে শত্রুতার দ্বারা কখনো শত্রুতার হয় না উপশম ,মিত্রতার দ্বারাই শত্রুতার উপশম হয়।
মানব জীবন থেকে যদি লোভ, হিংসা,
ঘৃণা,বিদ্বেষ,ক্রোধ,পাপ,মোহ,মিথ্যা
যাবতীয় কলুষিত বিষয়গুলো দূর হয়,
তাহাতে প্রকৃত সুখ লাভ করা সম্ভব।
আড়াই হাজার বছর আগে বুদ্ধের উপদেশ
মহা মানবের মহামন্ত্র অহিংসার বাণী
” সব্বে সত্তা সুখিতা ভবন্তো”
জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক,
শুনিয়েছেন জগতে সকলে কর্মের অধীন,
সর্ব জীবের হিতের জন্য, সুখের জন্য,
কল্যাণের জন্যই মানবতায় বুদ্ধের ধর্মজীবন।
লেখক ও সংগঠক
কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ
কেন্দ্রীয় কমান্ড।ঢাকা-১০০০